এর আগে, গত সোমবার (২০ মে) বিকেলে ওসিকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে ক্লোজড করা হয়। মঙ্গলবার (২১ মে) তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা করা হয়।
রাজশাহী পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, স্কুলছাত্রী সুমাইয়া আক্তার বর্ষাকে নিয়ে প্রথমে একটি অপহরণ মামলা হয়। এরপর গত ১৬ মে মেয়েটি আত্মহত্যা করার পর প্ররোচণার অভিযোগের আরেকটি মামলা হয়। মামলা দু’টির সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে মোহনপুর থানার ওসি আবুল হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়। পরে, গাফিলতির অভিযোগে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
গত ২৩ এপ্রিল কোচিং সেন্টারে পড়তে যাওয়ার নাম করে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় স্কুলছাত্রী সুমাইয়া আক্তার বর্ষাকে। পরে, রাস্তার পাশে পড়ে থাকা অবস্থায় মেয়েটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর মেয়েটির বাবা থানায় ধর্ষণের মামলা দিতে চাইলেও পুলিশ অপহরণচেষ্টার মামলা নেয়। সে মামলায় দফায় দফায় তদন্তের নামে চলে মেয়েটির ওপর মানসিক নির্যাতন। একপর্যায়ে, গত ১৬ মে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন ওই কিশোরী।
আত্মহত্যার আগে সুমাইয়া আক্তার বর্ষা এক চিঠিতে লিখে যান, ‘প্রিয় বাবা-মা তোমাদের কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আমি তোমাদের থেকে অনেক কিছু পেয়েছি, অনেক আদর, অনেক ভালোবাসা। কিন্তু একটা মেয়ের কাছে তার মানসম্মান সবচেয়ে বড়। আমি আমার লজ্জার কথা সবাইকে বলতে বলতে নিজের কাছে অনেক ছোট হয়ে গেছি। প্রতিদিন পরপুরুষের কাছে এসব বলতে বলতে আমি আর পারছি না। অপরাধীকে শাস্তি দিলেই তো আমার মানসম্মান ফেরত পাব না। তাই আমাকে ক্ষমা করো। ’
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৯
এসএস/একে