মঙ্গলবার রাত জামালপুর-নান্দিনা রেলস্টেশনের মাঝামাঝি কালিবাড়ী মধ্যপাড়া এলাকায় থেকে ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে রেলওয়ে থানা পুলিশ।
বুধবার (২২ মে) বিকেলে জামালপুর সদর হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে তার মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, এহসান ইবনে রেজা ফাগুন শেরপুরে তার বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশে ২১ মে বিকেলে ঢাকা থেকে ট্রেনে রওনা হন। ট্রেন থেকে তার বাবা সাংবাদিক কাকন রেজার সঙ্গে কথাও হয়েছে তার। কিন্তু এহসান রাতে বাড়িতে ফিরে না যাওয়ায় পরিবারের স্বজনদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দেয়। মঙ্গলবার রাতে এবং বুধবার সকালে পরিবারের স্বজনরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেন।
জামালপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাপস চন্দ্র পণ্ডিত জানান, ২১ মে রাত সাড়ে ১২টার দিকে জামালপুর-নান্দিনা রেলস্টেশনের মাঝামাঝি কালিবাড়ী মধ্যপাড়া এলাকায় রেললাইনের পাশে পড়ে থাকা অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতের পরণে ছিল ফুলহাতা শার্ট, জিন্সের প্যান্ট ও জুতা। সুরতহালে মরদেহের শরীরে ট্রেনে কাটা বা অন্যকোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
ওসি আরও জানান, ২২ মে সকালে ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ জামালপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত শেষে সৎকারের জন্য আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামকে খবর দেওয়া হয়। আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম কর্তৃপক্ষ মরদেহের কফিন তৈরি করে জানাজা ও দাফনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এরই মধ্যে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মরদেহটি সম্পর্কে জানতে চাইলে জিআরপি পুলিশের পক্ষ থেকে নিহত যুবকের বাবা কাকন রেজার কাছে ছবি পাঠানো হয়। ওই ছবি দেখে কাকন রেজা মরদেহটি তার ছেলের বলে শনাক্ত করেন।
তিনি আরও জানান, এ ব্যাপারে রেলওয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের হয়েছে। মরদেহ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সাংবাদিক কাকন রেজা বলেন, ২১ মে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ময়মনসিংহের গফরগাঁও স্টেশন থেকে এহসান আমাকে ফোনে বলেছিল ট্রেনে বাড়িতে আসতেছে। কিন্তু রাতে বাড়িতে না আসায় অনেক স্থানে খোঁজাখুঁজি করি। ২২ মে সকালে তার খোঁজে ময়মনসিংহে যাই। এক পর্যায়ে জামালপুর রেলওয়ে থানার পুলিশ আমার কাছে ছবি পাঠালে তা দেখে নিশ্চিত হই যে এটি এহসানেরই মরদেহ। সে কোন ট্রেনে আসতেছিল এবং কোনো অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পড়েছিল কিনা তা নিশ্চিত করেন বলতে পারছি না।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩১ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৯
এসএইচ