ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

পার্বত্যাঞ্চলে পুনরায় সেনাক্যাম্প চালুর দাবি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩৮ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৯
পার্বত্যাঞ্চলে পুনরায় সেনাক্যাম্প চালুর দাবি

রাঙামাটি: পার্বত্যাঞ্চলে সেনাক্যাম্প প্রত্যাহারের কারণে আঞ্চলিক সশস্ত্র অবৈধ অস্ত্রধারীদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বেড়েই চলছে। প্রতিনিয়ত পার্বত্য চট্টগ্রামে খুন-গুমসহ নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। তাই পার্বত্যাঞ্চল থেকে প্রত্যাহার করা সেনাক্যাম্প গুলো পুনরায় চালু করতে হবে।

বুধবার (২২ মে) সকালে যুবলীগ নেতা ক্যাহ্লাচিং মারমা হত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলার বাঙ্গালহালিয়া বাজার চত্বরে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।



মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ১৯৯৭ সালে ২ ডিসেম্বর পাহাড়ে শান্তির জন্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন করে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার। কিন্তু শান্তিচুক্তির পর পাহাড়ে শান্তির সুবাতাস বইতে শুরু করলেই কিছু কুচক্রী অবৈধ অস্ত্রধারী সশস্ত্র সন্ত্রাসী পাহাড়কে অশান্তির জনপদে পরিণত করেছে। বেড়ে গেছে অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি, সন্ত্রাসীদের বিচরণ এবং চাঁদবাজি। পাহাড়ে উপজাতি বা বাঙালি কোনো মানুষ তাদের কাছে নিরাপদ নয়।  

মানববন্ধনে এ হত্যাকাণ্ডের জন্য জেএসএস-কে দায়ী করে বক্তারা বলেন, পার্বত্যাঞ্চলে আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য জেএসএসর সন্ত্রাসীরা বিভিন্নভাবে নেতাদের ওপর হামলা ও নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। যে এলাকায় সব সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে, সেই এলাকায় হত্যা-গুম এবং বিত্তশালী থেকে শুরু করে দিনমুজুরসহ সব সম্প্রদায়ের মানুষের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ে জড়িত সন্ত্রাসীরা।  

বক্তারা আরও বলেন, তিন পার্বত্য জেলায় আওয়ামী লীগ নেতাসহ প্রতিনিয়ত খুন-গুমসহ নানান সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে জেএসএস, ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীরা। এরই প্রতিবাদে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করলেও তবুও প্রশাসন রহস্যজনক ভূমিকা পালন করে।  

তাই অবিলম্বে পার্বত্য এলাকায় বসবাসরত সব সম্প্রদায়ের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পাহাড়ে দ্রুত যৌথবাহিনীর চিরুনী অভিযান পরিচালনা করতে হবে এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারসহ হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও কাপ্তাই ভালুকিয়া-নাইক্ষ্যংছড়ি এলাকায় সেনা ক্যাম্প স্থাপনের দাবি জানানো হয়।

এসময় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন রাজস্থলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উবাচ মারমা, সাবেক চেয়ারম্যান উথিনসিন মারমা, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নিউচিং মারমা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পুলক বড়ুয়া, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অংনুচিং মারমা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান উচসিং মারমা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পুচিংমং মারমা, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লংবতি ত্রিপুরা, বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হ্লাথোয়াই অং মারমা গঞ্জ, ইউপি চেয়ারম্যান ঞোমং মারমা, ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম, উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, নয়ন চৌধুরী, সুইচাপ্রু মারমা, ফোরকান হোসেন মুন্না, মাসুম সর্দার, সাবেক ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুইথুইমং মারমা প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৯
এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad