বুধবার (২২ মে) দুপুরে নগর ভবনের তৃতীয়তলার সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, হোল্ডিং ট্যাক্সের প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে, বিল তো এখনো যায়নি।
বিসিসি মেয়র বলেন, আমরা ট্যাক্স বাড়াতে চাই না, তবে চাই সবার মাঝে সমতা বজায় থাকুক। বিগত দিনে রেজ্যুলেশনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন না করায় অনেকের মনে হচ্ছে ট্যাক্স বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু তা নয়, বিগত দিনে যার ট্যাক্স ধরা হয়েছিলো ১ লাখ ৫ হাজার টাকা সে তো দিতো ৫ হাজার টাকা। আবার একই মাপের ভবনে কেউ যদি ৫ হাজার দিতো, তবে আবার কেউ দিতো ৭ হাজার।
‘এছাড়া নানানভাবে অনিয়ম করে ট্যাক্সের অর্থ এমনভাবে কমিয়ে দেওয়া হতো যা নিয়ম বহির্ভূত। কিন্তু আমরা বর্তমান পরিষদ চাচ্ছি, কেউ বেশি, কেউ কম নয়, সবার মাঝে সমতা বজায় থাক। আর নগরবাসীকেও মনে রাখতে ট্যাক্সের টাকায়ই নগরের উন্নয়ন সম্ভব হবে। ’
তিনি বলেন, নির্ধারিত মাপের পর ট্যাক্স নির্ধারণের ক্ষেত্রে হাউজ লোন, বাড়ির মালিকের নিজের বসবাস ও মুক্তিযোদ্ধা কোটায় টাকার পরিমাণ কমানোর সুযোগ রয়েছে। এরপর তো মেয়র হিসেবে নিজেরও একটা সুপারিশ করার সুযোগ রয়েছে। তবে মনে রাখতে হবে সরকারের আইনের বাহিরে কিছু করার সুযোগ নেই আমার।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে সিটি করপোরেশনের সচিব ও প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তার মো. ইসরাইল হোসেন করপোরেশনের বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে কথা বলেন।
তিনি বলেন, ট্যাক্স আদায়ের ক্ষেত্রে নানা অনিয়ম করা হয়েছে। যেখানে সিটির ৫২ হাজার হোল্ডিং থেকে ৮০-৯০ কোটি টাকা আদায় হওয়ার কথা, সেখানে আসছে মাত্র ৯ কোটি টাকা। তাই আমরা কঠোর হচ্ছি।
এ বিষয়ে মেয়র-কাউন্সিলরসহ সিটি করপোরেশনের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকেও ছাড় দেওয়া হচ্ছে না বলে জানান প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘন্টা, মে ২২, ২০১৯
এমএস/এমএ