ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

রূপপুর প্রকল্পের বেতন-ভাতা নিয়ে মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৩ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৯
রূপপুর প্রকল্পের বেতন-ভাতা নিয়ে মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র

ঢাকা: রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প ও নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (এনপিসিবিএল)-এর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা সম্পর্কে প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ব্যাখ্যা দিয়েছে। 

প্রকল্প ও এনপিসিবিএল-এর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা সম্পর্কে প্রকাশিত সংবাদ অনুমান নির্ভর ও কাল্পনিক তথ্য সম্বলিত বলে ব্যাখ্যায় দাবি করা হয়েছে।

বুধবার (২২ মে) বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার বিবেকানন্দ রায় স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ ব্যাখ্যা দেওয়া হয়।

 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন সংক্রান্ত বিষয়ে কতিপয় সংবাদপত্র/ অনলাইন মিডিয়া/ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনুমান নির্ভর ও কাল্পনিক তথ্য সম্বলিত সংবাদ/ মতামত/ মন্তব্য প্রকাশিত হয়েছে। এতে দেশের সর্ববৃহৎ এই প্রকল্পের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়া ছাড়াও জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির আশংকা রয়েছে। এ বিষয়ে সকল বিভ্রান্তি দূর করতে নিম্নরূপ ব্যাখ্যা প্রদান করা হলো:

১. রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পে এখন পর্যন্ত যে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজ করছেন তারা বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের নিয়মিত কর্মকর্তা-কর্মচারী। সুষ্ঠুভাবে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের স্বার্থে তাদের এ প্রকল্পে সংযুক্ত করা হয়েছে এবং সরকার কর্তৃক নির্ধারিত বেতনক্রম অনুযায়ী তারা বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন হতে বেতন-ভাতা গ্রহণ করছেন।

২. নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন কাঠামো সমধর্মী অপরাপর পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির বেতন কাঠামো পর্যালোচনাপূর্বক কোম্পানির বোর্ড কর্তৃক নির্ধারণ করা হয়েছে। এ বোর্ডে পরিচালক হিসেবে সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন  সংস্থা/মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি রয়েছেন।

৩. রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (পিডি), উপ-প্রকল্প পরিচালক (ডিপিডি) কেউই প্রকল্প থেকে বেতন-ভাতা গ্রহণ করেন না। তারা বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের নিয়মিত কর্মকর্তা এবং তারা বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন থেকেই নির্ধারিত স্কেলে বেতন-ভাতা গ্রহণ করেন। প্রকল্প পরিচালক একই সাথে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকও। কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে তিনি কোনো বেতন-ভাতা কোম্পানি থেকে গ্রহণ করেন না। তাছাড়া, একাধিক সংস্থা থেকে বেতন-ভাতা গ্রহণ করার সুযোগ নেই।

৪. কোম্পানিতে এখনও কোনো গাড়িচালক এবং বাবুর্চি নিয়োগ করা হয়নি। তাদের বেতন-ভাতা দেওয়ার প্রশ্ন অবান্তর। তবে ভবিষ্যতে নিয়োগ করা হলে কোম্পানির বেতন কাঠামো অনুযায়ী গাড়িচালক এবং বাবুর্চির মাসিক বেতন হবে ভাতাসহ প্রায় ২৪,৪০০ টাকা। প্রকল্পে বর্তমানে যে সকল গাড়িচালক এবং বাবুর্চি আছে তারা মাস্টার রোলে দৈনিক ভিত্তিতে মাসে সর্বোচ্চ ১৫,৫০০ টাকা পান। সুতরাং প্রকল্প ও কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা সম্পর্কে যে সকল তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে, তা নিতান্তই কল্পনাপ্রসূত এবং প্রকল্পের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার প্রয়াস। আশা করা যায় এ ব্যাখ্যায় কোম্পানি ও প্রকল্পের বেতনভাতা বিষয়ে সকল বিভ্রান্তি দূর হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৭ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৯ 
এসকে/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।