এক্ষেত্রে নদীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিশেষ করে পরিবেশবিদ, নদী রক্ষা আন্দোলনকারীদের স্বেচ্ছায় অংশগ্রহণ করতে হবে। সবার সমন্বিত উদ্যোগে নদীকে আমরা সুরক্ষা করতে পারবো বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
বুধবার (২২ মে) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঢাকার চারপাশে নদী দখল ও দূষণরোধ কার্যক্রম চলমান রাখা সংক্রান্ত এক সভায় এ কথা বলেন সচিব।
সচিব আব্দুস সামাদ বলেন, শিল্পবর্জ্য দূষণরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি আইনের কঠোর প্রয়োগ করা হবে। নদীকে দূষণ করে কোনো কিছু করা যাবে না। নদীতে শিল্পবর্জ্য, মেডিকেল বর্জ্যসহ অন্য যেকোনো ধরনের বর্জ্য ফেলা বন্ধ করতে হবে।
বৈঠকে জানানো হয় যে, সরকার নদী দখল ও দূষণরোধে কাজ করে যাচ্ছে।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিআইডব্লিউটিএ ২৯ জানুয়ারি থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের আওতাধীন এলাকায় ৪ হাজার ১৩টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং ১১৩ একর জমি উদ্ধার করেছে। নদী তীর রক্ষায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।
সভায় বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর এম মাহবুব উল ইসলাম, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের আবু নাসের খান, বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলনের মনির মুন্সী, বুড়িগঙ্গা বাঁচাও আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মিহির বিশ্বাস, নদী ও পরিবেশ উন্নয়ন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শামসুল হক, এফবিসিসিআই’র পরিচালক আবু নাসের, বিজিএমইএ’র আশরাফ ওয়ারেশ, নদী যাত্রীকের সভাপতি ফারুক আহমেদ, বিজিএমইএ’র পল্লব ভট্টাচার্য, নোঙর-এর সভাপতি সুমন শামস, নদী পরিব্রাজক দলের সভাপতি মনির হোসেন, প্রবাহমান নদী রক্ষা আন্দোলনের সদস্য সচিব জসীম কাতাবী, পানি সম্পদ এবং পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৯ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৯
আরএম/জেডএস