ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

ভুল ইনজেকশন পুশ: মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে শিক্ষার্থী

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩৯ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৯
ভুল ইনজেকশন পুশ: মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে শিক্ষার্থী

গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জ ২৫০-শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভুল ইনজেকশন পুশ করায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ কল্যাণ বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী মরিয়ম সুলতানা মুন্নি। 

নার্স রাশিদার দেয়া ভুল ইনজেকশনের কারণে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে খুলনা আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

মঙ্গলবার (২১ মে) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে গোপালগঞ্জ ২৫০-শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার পর থেকে হাসপাতাল ছেড়ে পালিয়ে যান ওই নার্স রাশিদা।

ভুল ইনজেকশন পুশের শিকার মরিয়ম সুলতানা মুন্নি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দ্রদিঘলিয়া গ্রামের মো. মোশারফ হোসেন বিশ্বাসের মেয়ে।

ওই শিক্ষার্থীর বাবা মো. মোশারফ হোসেন বিশ্বাস বলেন, পিত্ত থলির পাথর জনিত কারণে গত তিন মাস ধরে আমার মেয়ে মুন্নিকে ডাক্তার তপন কুমার মণ্ডলের কাছে দেখানো হয়। কিছুদিন ধরে তিনি আমার মেয়েকে ঠিকভাবে চিকিৎসা  দিচ্ছিলেন না। গত ৯দিন আগে অপারেশন করার সময় দিলেও শেষ মুহূর্তে পরীক্ষা করতে ঢাকায় পাঠান। আমরা পরীক্ষা করেও নিয়ে আছি।

কিন্তু, কোনো চিকিৎসা না পেয়ে অামার মেয়েকে গতকাল সোমবার (২০মে) গোপালগঞ্জ ২৫০-শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাকে দেখ ভাল করেন ওই ডাক্তার তপন কুমার মণ্ডল।

মঙ্গলবার সকাল ১০টায় মুন্নির অপারেশন করার দিন ধায্য করা হলে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে হাসপাতালের নার্স রাশিদা আমার মেয়েকে ইনজেকশন দিতে আসেন। তাকে মানা করা হলেও আমাদের গাল মন্দ করে ভুল করে এনেসথেশিয়া ইনজেকশন দিয়ে দেন। এসময় আমার মেয়ে জ্ঞান হরিয়ে ফেলে।

পরে বিষয়টি জানাজানি হলে হাসপাতালের পরিচালক ডা. ফরিদুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়। পরে তাকে ঢাকায় রেফার করার ঘোষণা দেন।

বর্তমানে আমার মেয়েকে খুলনা আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তাকে ঢাকা নেয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।  

এ ঘটনায় নার্স হাসপাতাল ছেড়ে পালিয়ে গেলে তার বক্তব্য পাওয়া যায় নি।

এ ব্যাপারে গোপালগঞ্জ-২৫০শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে উপ-পরিচালক ডা. ফরিদুল ইসলাম বলেন, কি করে একজন সিনিয়র নার্স ভুল ইনজেকশন পুশ করলেন এটা আমার বোধগম্য নয়। এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি আরো বলেন, এ বিষয়ে আমাদের হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই। তাই রোগী যেন ভাল ট্রিটমেন্ট পায় সেজন্য তাকে রেফার করা হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৬ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৯
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।