ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২, ০৩ জুলাই ২০২৫, ০৭ মহররম ১৪৪৭

জাতীয়

সার্বিকভাবে টিআইবি ভালো কাজ করছে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১:২৫, মে ২১, ২০১৯
সার্বিকভাবে টিআইবি ভালো কাজ করছে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ

ঢাকা: সার্বিকভাবে টিআইবি ভালো কাজ করছে। তারা তাদের গবেষণার মাধ্যমে দুর্নীতির উৎস শনাক্তসহ তা নিরসনে কিছু কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।

মঙ্গলবার (২১ মে) দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এর নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন ও সিএমআই এর সিনিয়র গবেষক ইনজি আমুনডেস সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তারা দেশের স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও বেসরকারি খাতের দুর্নীতির বিষয়ে  ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল অব বাংলাদেশ (টিআইবি) এর ভূমিকা নিয়ে মতবিনিময় করেন।

 

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, টিআইবির সঙ্গে দুদকের সম্পর্ক রয়েছে, তাদের সঙ্গে কমিশনের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে এবং এর ভিত্তিতে বিভিন্ন কার্যক্রম চলমান।

তিনি বলেন, টিআইবি শিক্ষা বিশেষ করে প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক শিক্ষায় যেসব মেগা কর্মসূচি রয়েছে এগুলোর প্রান্তিক পর্যায়ের কার্যক্রমের ওপর গবেষণা করতে পারে। এতে শিক্ষার ক্ষেত্রে বিদ্যমান দুর্নীতি-অনিয়ম সম্পর্কে সরকারের নীতি-নির্ধারকরা যেমন সচেতন হবেন, তেমনি তৃণমূল পর্যায়েও দুর্নীতিবিরোধী সচেতনতা বাড়বে।

ইকবাল মাহমুদ বলেন, একইভাবে স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রেও টিআইবি গবেষণা করলে এক্ষেত্রে সরকারি পরিষেবা দেওয়ার ত্রুটি-বিচ্যুতিগুলো যেমন চিহ্নিত করতে সহজ হবে, তেমনি সমাধানের গবেষণালব্ধ সুপারিশও পাওয়া যেতে পারে। সার্বিকভাবে এক্ষেত্রে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে টিআইবির। টিআইবিকে নির্মোহ থেকে এসব গবেষণা সম্পন্ন করতে হবে।

বেসরকারিখাতের দুর্নীতি সম্পর্কে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, এক্ষেত্রেও দুর্নীতি রয়েছে। তবে সরাসরি এসব দুর্নীতি দুদকের আওতায় নেই। সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশে দুর্নীতির ঘটনা যখন ঘটে তখন দুদকের হস্তক্ষেপ করার আইনি সুযোগ সৃষ্টি হয় এবং দুদক এ দায়িত্ব পালনও করছে।  

বেসরকারিখাতে টিআইবির ভূমিকা কেমন হবে জানতে চাইলে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশে সুশাসনের জন্য অনেক আইন রয়েছে, তবে এসব আইনের প্রয়োগের সমস্যা রয়েছে। ফরেন ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট (এফডিআই) কেন হচ্ছে না? এর মূলে রয়েছে এসব আইনের সঠিক বাস্তবায়ন না হওয়া এবং দুর্নীতি। এক্ষেত্রে টিআইবি এবং সিপিডির মতো প্রতিষ্ঠান গবেষণার মাধ্যমে দুর্নীতি-অনিয়মের কারণ, ধরন, ব্যাপকতা শনাক্ত করে তা প্রতিরোধে সুপারিশ প্রণয়ন করতে পারে।  

দুর্নীতি দমন কমিশনের সীমাবদ্ধতা  নিয়ে প্রশ্ন করা হলে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, কমিশনের সক্ষমতায় কিছুটা ঘাটতি হয়তো রয়েছে, তা অতিক্রমের জন্য কমিশন বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। তাছাড়া দুর্নীতি করলে তাকে আইনের আওতায় আসতেই হবে, এই বার্তা দিতে কমিশন সফল হয়েছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে পারি, দুর্নীতির অভিযোগে অনেক প্রভাবশালীকে আইনের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। পদ-পদবী কিংবা অন্য কোনো পরিচয়ে কাজ হচ্ছে না। দুর্নীতিপরায়ণদের আজ হোক কাল হোক জবাবদিহি করতেই হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৩ ঘণ্টা, মে ২১,২ ০১৯
আরএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।