মঙ্গলবার (২১ মে) সন্ধ্যা ৬টা থেকে শ্রমিকরা কাজে যোগদান করবে।
দুপুরে নয়টি সরকারি পাটকলের শ্রমিকদের আন্দোলনের বিষয়টি নিয়ে খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে খুলনার জেলা প্রশাসন, বাংলাদেশ জুট মিলস করপোরেশন (বিজেএমসি) ও শ্রমিকদের ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের পর টানা ১৫ দিন ধরে চলা আন্দোলন স্থগিত করা হলো।
বৈঠক শেষে পাটকল শ্রমিক লীগের খুলনা ও যশোর অঞ্চলের আহ্বায়ক মুরাদ হোসেন এ ঘোষণা দেন।
চার ঘণ্টা আলোচনার পর শ্রমিকরা ঘোষণা দেন- চলতি সপ্তাহে দুটি বকেয়া এবং এক সপ্তাহের মধ্যে পুরো বকেয়া দেওয়ার পাশাপাশি বুধবার (২২ মে) বন্ধ মিলগুলোতে জরুরিভাবে কর্মরত শ্রমিকদের হাতে মজুরি কমিশন বাস্তবায়ন করে পে স্লিপ দেওয়ার শর্তে আন্দোলন স্থগিত করা হলো।
বিজেএমসি সূত্রে জানা যায়, বিগত ১৫ দিনে খুলনা-যশোর অঞ্চলের নয়টি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলে উৎপাদন ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১৫ শত মেট্রিক টন পাটজাত পণ্য। অর্থাৎ যার বিক্রয়মূল্য হিসাব করলে দাঁড়ায় ১৫ কোটি টাকা। খুলনা-যশোর অঞ্চলের নয়টি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলে এ পর্যন্ত শুধুমাত্র শ্রমিকদের মজুরি বকেয়া পড়েছে ৪২ কোটি টাকা। আর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গত এপ্রিল মাস পর্যন্ত বকেয়া বেতনের পরিমাণ ১৬ কোটি টাকা অর্থাৎ প্রায় ৬০ কোটি টাকা বকেয়া পড়েছে শুধুমাত্র মজুরি ও বেতন। পক্ষান্তরে নয় মিলের উৎপাদিত পণ্য মজুদ রয়েছে ৩শ’ কোটি টাকারও বেশি।
উল্লেখ্য, গত রোববার (৫ মে) বিকেল থেকে খুলনা-যশোর অঞ্চলের নয়টি পাটকলে কর্মবিরতি শুরু হয়ে ১৩ মে থেকে সারাদেশের ২৬টি পাটকলে এ কর্মবিরতি পালন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৩ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৯
এমআরএম/আরআইএস/