ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

এবার ধান কেটে দিলেন জেলা প্রশাসক-জনপ্রতিনিধি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৬ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৯
এবার ধান কেটে দিলেন জেলা প্রশাসক-জনপ্রতিনিধি ধান কেটে দিচ্ছেন জেলা প্রশাসকসহ অন্যরা/ছবি: বাংলানিউজ

চুয়াডাঙ্গা: এমনিতে ধানের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না কৃষক, তার ওপর শ্রমিক সংকট। শ্রমিক সংকটের পাশাপাশি মজুরি বেশি এবং প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে দুঃচিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। সব মিলিয়ে বেশ দুঃসময় যাচ্ছে কৃষকদের।

এমন সংকটময় সময়ে ‘কৃষকরা একা নয় আমরা আছি তাদের পাশে’ এ স্লোগান নিয়ে প্রান্তিক কৃষকদের ধান কেটে দেওয়ার কার্যক্রম নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস, সরকারি কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।  

মঙ্গলবার (২১ মে) সকালে জেলার জীবননগরে সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে জেলা প্রশাসক এ  কার্যক্রম শুরু করেন।

 

দুঃসময়ে স্বেচ্ছাশ্রমে ধান কাটতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ায় খুশি কৃষকরা।

সকালে জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) খন্দকার ফরহাদ আহমদ ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ ইয়াহ্ ইয়া খাঁনকে সঙ্গে নিয়ে জীবননগর উপজেলার পেয়ারাতলা গ্রামে জেবুন নেছা নামে এক নারীর ১৫ কাঠা জমির ধান কাটতে শুরু করেন। দ্রুত এ খবর উপজেলা শহরে ছড়িয়ে পড়লে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজি হাফিজুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সিরাজুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ঈশা, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েশা সুলতানা লাকি, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সারমিন আক্তার, ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন খাঁন ও স্কাউটসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। এ সময় জেলা প্রশাসকের দেখাদেখি তারাও জেলা প্রশাসকের সঙ্গে ওই নারীর ধান গাছ কেটে দেন।
 
ধান ক্ষেতের মালিক জেবুনেছা বাংলানিউজকে জানান, তার ১৫ কাঠা জমির ধান পেকে যাবার পরও টাকার অভাবে তিনি কামলা নিয়ে ধান কাটতে পারছিলেন না। তাই মঙ্গলবার তিনি ও তার ছেলে শাহ আলম ক্ষেতের ধান কাটতে শুরু করেন। এর পরই জেলা প্রশাসকসহ সরকারি কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা তার জমির অবশিষ্ট ধান কেটে দেন।   

এবিষয়ে জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস বাংলানিউজকে জানান, আমরা কৃষকের সন্তান, কৃষকদের এই দুঃসময়ে তাদের পাশে দাঁড়াতে পেরে নিজেদেরও সৌভাগ্যবান মনে করছি। কৃষকরা সাময়িক শ্রমিক সংকটে পড়েছে হয়তো, সেটা কেটে যাবে। এখন থেকে দরিদ্র কৃষকদের ধান কেটে দেওয়ার উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।  

ধান কাটার পর জীবননগর উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রামে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে সরকারি ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু করেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৪ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৯
এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।