যুগের সঙ্গে সঙ্গে আধুনিকতার ছোঁয়ায় ফাঁদের আকার-ধরণ ও নকশায় পরিবর্তন হলেও, এখনও জনপ্রিয়তা কমেনি চাঁই-বুচনা-গড়ার।
বরিশালের বিভিন্ন অঞ্চলের বাজার ঘুরে জানা গেছে, সারবছর ধরে চাঁই-বুচনা তৈরি করে থাকেন গ্রামীণ নারী ও পুরুষরা।
এসব হাট থেকে যেমন খুচরা ক্রেতারা চাঁই কিনেন, তেমনি আবার পাইকাররা কিনে নিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রির জন্য পাঠান।
মাছ ধরার ফাঁদ ব্যবসায়ীরা জানান, বিভিন্ন আকার ও আঙ্গিকে তৈরি মাছ ধরার এ ফাঁদগুলোর রয়েছে বাহারি নাম। যেমন-চাঁই, বুচনা, গড়া, চরগড়া, খুচইন ইত্যাদি। আবার চাঁইয়ের মধ্যেও রয়েছে নামের বিভেদ। যেমন-ঘুনি চাঁই, কইয়া চাঁই, বড় মাছের চাঁই, জিহ্বা চাঁই, গুটি চাঁই ইত্যাদি।
বরিশালের গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়া বাজারের চাঁই ব্যবসায়ী মতি লাল বিশ্বাস বাংলানিউজকে বলেন, সারাবছর ধরে চাঁই বিক্রি করলেও জ্যৈষ্ঠ থেকে ভাদ্র পর্যন্ত চারমাস এর বিক্রি বেশি হয়। কাঁচামালের দর বেড়ে যাওয়ায় এখন চাঁইয়ের দরটাও অনেক বেশি।
আর ফাঁদ বানানোর স্থানীয় কারিগররা জানান, মাছ ধরার ফাঁদ তৈরিতে বাঁশ আর সুতা ব্যবহার করা হয়। তবে বাঁশের সংকটের কারণে দিনে দিনে এসব মাছ ধরার ফাঁদের দর বাড়ছে। বর্তমান বাজারে আকার ও আকৃতি ভেদে এসব ফাঁদ দেড়শ থেকে ১২শ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হয়ে থাকে।
সৌখিন মৎস্য শিকারি মিন্টু মিয়া বলেন, দক্ষিণের এ অঞ্চলের গ্রামের মানুষের কাছে চাঁই-বুচনা আগে যেমন জনপ্রিয় ছিল, এখনও রয়েছে। চাঁই খাল আর বিলে কিংবা ডুবে যাওয়া ফসলি ক্ষেতে পেতে রাখা হয়। যেখান থেকে দেশীয় প্রজাতির চিংড়ি, শোল, শিং, কৈ, খইলসা, পুঁটি মাছ ধরা পরে। তবে এখন বেশি পানিতেও ফাঁদপাতার জন্য বড় আকারের চাঁই বানানো হয়, যাতে রুই-কাতলও ধরা পড়ে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২০ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৯
এমএস/এএটি