রোববার (১৯ মে) রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এরপর ধর্ষনের শিকার ওই শিশুর মা বাদী হয়ে পেকুয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেলে মামলার প্রধান আসামি মো. ছোটন (১৫) নামে এক কিশোরকে আটক করে পুলিশ।
ছোটন পেকুয়া সদর ইউনিয়নের সিকদার পাড়া এলাকার চাঁদ মিয়ার ছেলে।
ধর্ষণের শিকার ওই শিশুরর মা জানান, তার ১২ বছর বয়সের মেয়ে সিকদার পাড়ার জাফর আলমের বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করত। সেই বাড়ি থেকেই তাকে ফুসলিয়ে বের করে রোববার সন্ধ্যায় রাস্তার ধারে ঝোপের মধ্যে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে ছোটন। এ সময় শিশুটির চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে ছোটন পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পরে আমার মেয়ে রাত ১১টার দিকে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে বাড়ির মালিক তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
পেকুয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কাজী আবদুল মালেক বাংলানিউজকে জানান, শিশুটিকে হাসপাতালে নেওয়ার পর সোমবার (২০ মে) সকালে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। এরপর তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়। পরে শিশুটিকে ওই হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) নিয়ে যাওয়া হয়।
পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জাকির হোসেন ভূঁইয়া বাংলানিউজকে বলেন, শিশু ধর্ষণের ঘটনায় ওই শিশুটির মা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছে। এছাড়া অভিযুক্ত ছোটনকেও আটক করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৫২৫ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৯
এসবি/এসএ