সোমবার (২০ মে) দুপুরে হেমায়েতপুরের বাগবাড়ি ট্যানারি রোড এলাকায় প্রিন্স ফুড প্রডাক্টস লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে এ জরিমানা করা হয়।
র্যাব-৪ (সিপিসি-২) এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার নিজাম উদ্দিনের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
র্যাব-৪ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ বাংলানিউজকে জানান, হেমায়েতপুরের প্রিন্স ফুড নামে একটি কারখানায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ভোজ্য পণ্য তৈরির ব্যাপারে গোপন সংবাদ পেয়ে সেখানে অভিযানে যায় ভ্রাম্যমান আদালত। এ সময় কারখানায় উৎপাদিত মিষ্টি ও দইয়ের মধ্যে মশা, মাছি ও ময়লার আস্তরণ পাওয়া যায়। এছাড়া অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে নুডুলস ও সেমাই তৈরি এবং পঁচা পুঁদিনা ও ধনে পাতা দিয়ে বিভিন্ন ধরনের সস তৈরির সত্যতা মেলে। একই সঙ্গে কারখানার কোয়ালিটি কন্ট্রোল ল্যাবে মজুদকৃত ভোজ্য পণ্য তৈরির সব ধরনের রিএজেন্ট (বিকারক) মেয়াদোত্তীর্ণ অবস্থায় পাওয়া যায়। যার অধিকাংশের মেয়াদ ২০১৩ সালেই শেষ হয়ে গেছে। যা সম্পূর্ণ নিরাপদ খাদ্য আইনের ধারার বর্হিভূত।
তিনি আরও জানান, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি, মেয়াদোত্তীর্ণ খাবার মজুদ ও প্রতারণাসহ বিভিন্ন অভিযোগে কারখানাটির মালিক ও ম্যানেজারকে ১২ লাখ টাকা জরিমানা (অনাদায়ে এক বছরের কারাদণ্ড) করা হয়। একই সঙ্গে কারখানার যে সব সেকশনে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ পাওয়া গেছে, তা আগামি সাত দিনের মধ্যে উপযোগী করে তোলারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৩২ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৯
এসএ/