সোমবার (২০ মে) দুপুরে আলিমুন্নেছাকে চাঁদপুর আদালতে পাঠানো হয়।
এর আগে, হত্যার অভিযোগে মৃত সালমার বাবা মহসিন মিয়া রোববার (১৯ মে) রাতে ফরিদগঞ্জ থানায় সালমার শাশুড়ি ও স্বামী মাহফুজুর রহমানকে আসামি করে মামলা করেন।
পুলিশ জানায়, সালমার হাতের রগ কাটা এবং গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার হয়। ধারণা করা হচ্ছে, শনিবার (১৮ মে) দিনগত রাতে তিনি আত্মহত্যা করেছেন, কিংবা তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিযুক্ত শাশুড়ি আলিমুন্নেছাকে আটক করা হয়।
জানা যায়, ঘনিয়া গ্রামের সৌদি প্রবাসী মাহফুজুর রহমানের সঙ্গে পাশ্ববর্তী হুগলি গ্রামের মহসিন মিয়ার মেয়ে সালমার কয়েক বছর আগে বিয়ে হয়। তাদের মাহমুদ নামে দুই বছর বয়সী একটি সন্তান রয়েছে।
সালমার বাবা মহসিন অভিযোগ করে বাংলানিউজকে বলেন, আমার মেয়ে শ্বশুরবাড়িতে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তারাই তাকে মেরে ঝুলিয়ে রেখেছেন। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
তবে শাশুড়ি আলিমুন্নেছার দাবি, সালমা আত্মহত্যা করেছেন।
ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রকিব বাংলানিউজকে বলেন, সোমবার সালমার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় শাশুড়িকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৯
এসআরএস