সোমবার (২০ মে) দুপুরে তাকে প্রত্যাহার করা হয়। এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বদরুল আলম মোল্লাকে প্রধান করে দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
নির্যাতিত স্কুলছাত্রীকে রোববার (১৯ মে) রাতে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা যায়, মাদারীপুর পুলিশ লাইনের পুলিশ সদস্য মোক্তার হোসেন দীর্ঘদিন ধরে শহরের টিবি ক্লিনিক সড়কে ভাড়া থাকেন। কয়েক দিন আগে মোক্তারের গর্ভবতী স্ত্রী গ্রামের বাড়ি চলে যায়। এই সুযোগ রোববার রাতে শহরের টিবি ক্লিনিক সড়কের প্রতিবেশি এক স্কুলছাত্রীকে ঘরে ডেকে নেন। এসময় দরজা বন্ধ করে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয়রা বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দেন। পরে পুলিশ সদস্য মোক্তার হোসেন স্কুলছাত্রীকে পেছনের ভেন্টিলেটর দিয়ে ফেলে দেন। এতে ওই স্কুলছাত্রী গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
নির্যাতিত স্কুলছাত্রী অভিযোগ করে বলেন, মোক্তার হোসেন আমাকে তার ঘরে ডেকে নিয়ে যান। এরপর ঘরের দরজা বন্ধ করে আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। স্থানীয়রা টের পেয়ে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দিলে তিনি আমাকে ভেন্টিলেটর দিয়ে ফেলে দেন। এতে আমার পায়ের হাড় ভেঙে যায়। এর আগে, তিনি আমাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়েছেন।
মাদারীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক শশাঙ্ক ঘোষ বাংলানিউজকে বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে একটি মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য মোক্তার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আমাকে শুধু শুধু স্থানীয়রা ঘরের বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দিয়েছিল। ওই মেয়ে সঙ্গে আমার কিছু হয়নি।
মাদারীপুরের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক বাংলানিউজকে বলেন, এ ঘটনায় দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৯ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৯
এনটি