সোমবার (২০ মে) পুরো হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, রোগীর স্বজনরা প্রচণ্ড গরমের কারণে অস্থির হয়ে পড়েছেন। যেসব রোগী হাসপাতাল আইসিইউতে আছে, তাদের স্বজনরা এর সামনে অবস্থান নিয়েছেন।
কথা হয় হাসপাতালের চতুর্থ তলায় আইসিইউ’র সামনে অবস্থানরত মধ্যবয়সী নারী বিলকিস আক্তারের সঙ্গে। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, আমার আত্মীয় আইসিইউ’র ভেতরে আছে। একটু পরপরই ডাক্তাররা আমাদের রোগী সম্পর্কে অবগত করার জন্য ডাকেন। তাই এর সামনেই আমরা অবস্থান নিয়েছি। আমাদের মতো আরও অনেকেই এখানে অবস্থান নিয়েছে। কিন্তু এখানে একটুও শান্তি নেই। প্রচণ্ড রকমের গরম। উপরে ফ্যান আছে ঠিকই। কিন্তু এই ফ্যানের বাতাস আগুনের ফুলকির মতো লাগে। তাই ছোট টেবিল ফ্যান কিনে গরম নিবারণের চেষ্টা করছি। হাসপাতালের তৃতীয় তলায় ঢাল সিঁড়িতে অসুস্থ সন্তানের পাশে অবস্থান করছেন এক মা। সন্তানের মাথার পাশ থেকে গরম নিবারণের জন্য টেবিল ফ্যান দিয়ে বাতাস দেওয়া হচ্ছে।
আমিনা বেগম নামে ওই মা বাংলানিউজকে বলেন, আমার ছেলে অসুস্থ, হাসপাতালের ওয়ার্ডে ভর্তি করেছি। ওয়ার্ডে দুইদিন ছিলাম। প্রচণ্ড গরমের কারণে ওখানে থাকা কঠিন। আমরাই থাকতে পারি না। আর আমার অসুস্থ ছেলেতো ছটফট করছিল গরমে।
আমিনা বেগম বলছিলেন, ওয়ার্ডের ভেতরে দিনরাত, যে সময় বলেন, গরম থাকে সব সময়। সহ্য করতে না পেরে সন্তানকে নিয়ে এই ঢাল সিঁড়িতে অবস্থান নিয়েছি। এই ছোট পাখা দিয়ে সন্তানকে বাতাস দিচ্ছি। ওয়ার্ড থেকে এখানেই ভালো আছি। ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ওয়ার্ডবয় জিল্লুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের পরিচালক স্যার আগেই নির্দেশ দিয়েছেন, প্রচণ্ড গরমের কারণে রোগীদের কষ্ট হচ্ছে। কোনো ওয়ার্ডে বা কোথাও কোনো ফ্যান যেনো নষ্ট না থাকে। যেখানে নষ্ট দেখা যাচ্ছে, সেটি খুলেই নতুন ফ্যান লাগানো হচ্ছে।
হাসপাতালের প্রশাসনিক ব্লকের একটি সূত্র জানিয়েছে, হাসপাতালে ধারণক্ষমতা দুই হাজার ৬০০ রোগী। কিন্তু সব সময়ই রোগী থাকছেন দ্বিগুণ। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে দ্বিগুণ রোগী ও স্বজন থাকার কারণে গরম আরও বেশি লাগছে। এছাড়া এমনিতেই তো প্রচণ্ড গরম।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৯
এজেডএস/টিএ