সোমবার (২০ মে) আমিমপুরে অবস্থিত জেলা সমাজসেবা কার্যালয় ঢাকার ছোটমনি নিবাস কমপ্লেক্সের তৃতীয় তলায় কথা হয় প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে।
ছোটমনি নিবাসের উপ-তত্ত্বাবধায়ক জুবলি বেগম রানু বাংলানিউজকে বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কিছুদিন আগে শিশুটিকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করে।
‘আমাদের রেজিস্ট্রেশন খাতায় শিশুটির কোনো নাম দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা হয়নি। এখন পর্যন্ত নবজাতকটি ভালো আছে। যতগুলো শিশু আছে তাদের স্বাস্থ্যগত সমস্যা হলেই সঙ্গে সঙ্গে আমরা চিকিৎসকের শরণাপন্ন হই। যদি কেউ শিশুটিকে দত্তক নিতে চায়, তবে আদালতের শরণাপন্ন হয়ে নিতে হবে। ’
গত ১৪ মে দুপুরের দিকে আগারগাঁও শিশু হাসপাতালের সি ব্লকের একটি বাথরুম থেকে নবজাতকটি উদ্ধার করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। উদ্ধারের পরপরই নবজাতকের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে হাসপাতালে রাখা হয় কিছুদিন। পরে সুস্থ হলে নিয়ম অনুযায়ী আজিমপুর ছোটমনি নিবাসে হস্তান্তর করে। বর্তমানে সেখানেই আছে শিশুটি।
বিষয়টি গণমাধ্যমসহ ফেসবুকে ভাইরাল হলে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিশুকে দত্তক নিতে শত শত নারী ফোন করেন পুলিশের কাছে। দত্তক নিতে আগ্রহী নারীদের পুলিশ জানিয়ে দেয় শিশুটিকে নিতে হলে আদালতের মাধ্যমে নিতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৯
এজেডএস/এএ