সোমবার (২০ মে) দুপুরে লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী অঞ্চল (চন্দ্রগঞ্জ) আদালতে ঠিকাদার জুয়েল মামলা দায়ের করেন।
মামলায় চেয়ারম্যান ছাড়াও তিনজনের নামোল্লেখ করে, অজ্ঞাতপরিচয় আরও পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে।
বাদীর আইনজীবী লুৎফুর রহমান রহিম গাজী মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, বিচারক নুসরাত জাহান মামলাটি আমলে নিয়ে নোয়াখালী পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেন।
মামলায় অন্য আসামিরা হলেন চেয়ারম্যানের সহযোগী ওই ইউনিয়নের বাসিন্দা ফারুক খাঁন, টিটু ও মাসুদুর রহমান।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, মেসার্স রুবিনা ট্রেডার্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দিয়ে জুয়েল রানা দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসছে। সম্প্রতি দিঘলী ইউনিয়নে এলজিইডির ৪৮ লাখ টাকার কার্পেটিংয়ের একটি কাজ পান। শ্রমিকরা সড়কের কার্পেটিংয়ের কাজ করার সময় শেখ মজিবুর অনুসারীদের নিয়ে এসে তা বন্ধ করে দেয়। ২ লাখ টাকা দেওয়ার দাবি করেন। টাকা না দেওয়ায় গত ১৬ মে রাতে লোকজন দিয়ে ঠিকাদারকে তার ব্যক্তিগত কার্যালয়ে ডেকে নেয়। এসময় গলায় চুরি ধরলে প্রাণ ভয়ে শেখ মজিবুরকে ৭০ হাজার টাকা দেন ঠিকাদার। দাবি করা টাকা পুরো না দেওয়ায় শেখ মজিবুরসহ তার লোকজন ঠিকাদার জুয়েলকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন।
অভিযুক্ত চেয়ারম্যান শেখ মজিবুর রহমান বলেন, হামলার ঘটনায় আমি জড়িত নই, একটি চক্র জুয়েলকে দিয়ে পলিকল্পিতভাবে মামলাটি করিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫১ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৯
এসআর/এএটি