সোমবার (২০ মে) দুপুর সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘বালিশ’ হাতে এই অভিনব বিক্ষোভ করা হয়। এই প্রতিবাদ বিক্ষোভের আয়োজন করে বাংলাদেশ গণঐক্য ও নাগরিক পষিদ নামে দুটি সংগঠন।
আয়োজক সংগঠন বাংলাদেশ গণঐক্যের সভাপতি আরমান হোসেন পলাশ বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে যে হরিলুট হয়েছে তা ইতিহাসে সেরা। শুধু দুর্নীতি-ই নয়, বেড়ে চলেছে বেকারের সংখ্যা ও কৃষকের হাহাকার। এ জন্য সবাইকে সোচ্চার হতে হবে।
তিনি বলেন, ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে দুর্নীতি যে হচ্ছে তার নমুনা এরই মধ্যে পত্র-পত্রিকায় এসেছে। ৬ হাজার টাকার বালিশ- এর আগে কোন কোন প্রকল্পে কেনা হয়েছে তা জাতি জানতে চায়।
নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দীন বলেন, ২৫০ টাকার বাজার মূল্যে বালিশ ৬ হাজার টাকা-এ এক মহা তুঘলকি কাণ্ড। সীমাহীন লুটপাট চলছে।
তিনি বলেন, ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের লুটপাট, জনগণের ভোট ডাকাতি, অধিকার হরণ, দেশব্যাপী ভয়াবহ সন্ত্রাস, গুম, খুন ও ধর্ষণের মতো জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। কিন্তু জাতি এ অবস্থা থেকে মুক্তি চায়।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া সবার হাতেই বালিশ ছিলো। এসব বালিশে লেখা ছিল, ‘কে দেখবে এই দুর্নীতি? কে থামাবে এই মহামারি?’ ‘কৃষক পায়না ফসলের দাম, চারিদিকে লুটপাটের জয়গান’, ‘ইতিহাসের সেরা লুট’ সহ নানা স্লোগান।
কর্মসূচিতে দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম, দুর্নীতি প্রতিরোধ আন্দোলনের আহ্বায়ক মো. হারুন অর রশিদ খান, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. সামছুল আলম, বিপ্লবী পার্টির আহ্বায়ক মো. আবুল কালাম আজাদ, জাগো বাংলাদেশ গার্মেন্টস ফেডারেশনের সভাপতি বাহারানে সুলতান বাহার, গণঐক্যের প্রচার সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫২ ঘন্টা, মে ২০, ২০১৯
এসএমএকে/এমএ