ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

লঞ্চে ঈদযাত্রা: সদরঘাটে এখনও খোলেনি টিকিট কাউন্টার

জবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৩ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৯
লঞ্চে ঈদযাত্রা: সদরঘাটে এখনও খোলেনি টিকিট কাউন্টার সদরঘাটে টিকিট কাউন্টার খোলেনি। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা:  যাত্রীদের দুর্ভোগ কমাতে ঘোষণা অনুযায়ী, ১৯ মে (সোমবার) সকাল ১০টা থেকে কাউন্টারে লঞ্চের অগ্রিম টিকিট বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ও ঢাকা নদীবন্দর কর্তৃপক্ষ। তবে সদরঘাটে এখনও কোনো লঞ্চের অগ্রিম টিকিট বিক্রির কাউন্টারই খোলেনি।

সোমবার (২০ মে) দুপুর পর্যন্ত সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে অবস্থান করে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে।

এদিকে অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করতে কোনো যাত্রীকে কাউন্টার বা এর আশপাশ এলাকায় দেখা যায়নি।

ফলে লঞ্চের অগ্রিম টিকিট বিক্রির বিষয়টি এবারও এক ধরনের নিয়ম রক্ষার তাগিদে ও সারাবছর অব্যবহৃত থাকা কাউন্টারগুলোর কিছুটা ময়লা পরিষ্কারের লক্ষ্যে ঘোষিত দিন বলেই বিবেচ্য হচ্ছে। টিকিট নিয়ে কাউন্টারের সামনে বসে আছেন লঞ্চের মালিক।                                          ছবি: বাংলানিউজবলা হয়, সেই মান্দাতার আমলের রীতিতেই লঞ্চে বসে বিক্রি চলে অগ্রিম টিকিটের। কোনো যাত্রীকে টিকিট সংগ্রহ করতে দেখা যায়নি। প্রথমবার ঘোষণার পর কিছু যাত্রী টিকিট সংগ্রহ করতে এলেও এরপর থেকেই আর আসেননি। ফলে বিআইডব্লিউটিএ প্রতিবছর এমন আয়োজন করলেও তার সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে আগামীতে কাউন্টার রাখা বা না রাখার বিষয়ে নতুন করে ভাবতে চান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ১৮ মে বিআইডব্লিউটিএ ঘোষণা অনুযায়ী ১৯ মে সোমবার সকাল ১০টা থেকে কাউন্টারে টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু ঘড়ির কাঁটা ১০ থেকে ১১টার ঘরে প্রবেশ করলেও কোনো কাউন্টার খোলতে দেখা যায়নি। এমনকি টিকিট নিতেও কোনো যাত্রী আসেনি।

পরে বিভিন্ন লঞ্চে ঢু মেরে দেখা যায়, সেখানে কাউন্টার সাজিয়ে বসেছেন লঞ্চ কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সেখানেও টিকিট শুধু আগাম পরিচিতদের জন্যই বরাদ্দ চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।

কাউন্টারে অগ্রিম টিকিট বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে সুন্দরবন-১২ লঞ্চের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মচারী বাংলানিউজকে প্রশ্ন রাখেন, আপনিই বলেন, লঞ্চের টিকিট কখনও কাউন্টারে বসে বিক্রি করা সম্ভব? একটা লঞ্চে কয়টা কেবিন থাকে? ডেকের টিকিট তো আর আগে বিক্রির সুযোগ নেই। এরপরেও যা টিকিট আমরা অগ্রিম বিক্রি করার কথা বলছি, তা বরিশালে আমাদের কার্যালয়ে বিক্রি হচ্ছে। তাই এখানে বিক্রি হচ্ছে না।

এ বিষয়ে ঢাকা নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক আলমগীর কবির বাংলানিউজকে বলেন, এভাবে আসলে চলছে না, আমরা আজই টিকিট বিক্রির তারিখ দিয়েছিলাম। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি। তাই আমরা আজকেই নোটিশ দেবো। যারা টিকিট বিক্রি করবেন না, তাদের কাউন্টারের বরাদ্দ বাতিল করা হবে।

বাংলাদেশ সময় ১৩৫১ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৯
কেডি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।