উপজেলার বেতকাপা ইউনিয়নের পূর্বনয়নপুর দক্ষিণপাড়া নলেয়া খালের ওপর ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে সেতুটি। যা পাশের মহদীপুর ইউনিয়নকে যুক্ত করেছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের সেতু/কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে নির্মিত হয় ৬০ ফিট এই সেতুটি।
সেতুর গায়ে লাগানো ফলকে ‘পূর্বনয়নপুর দক্ষিণপাড়া থেকে মহদীপুর ফুটানির বাজার রাস্তায় নলেয়া খালের উপর ৬০ ফুট সেতু নির্মাণ’ লেখা উল্লেখ করা হলেও আজও নির্মিত হয়নি রাস্তাটি। ফলে এর সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এলাকাবাসী।
পূর্বনয়নপুর গ্রামের সাইফুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, বেতকাপা ইউনিয়নের পূর্বনয়নপুর ও পবনাপুর ইউনিয়নের গোপিনাথপুর গ্রামের মানুষদের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যক্রয়ের জন্য নলেয়া খালের ওপর দিয়ে ফুটানির বাজার, আমলাগাছি ও ঢোলভাঙ্গায় হাট-বাজারে যেতে হয়।
এছাড়া ওই দুই গ্রামের স্কুল-কলেজগামী ছেলে-মেয়েদের নিয়মিত নলেয়া খাল পারাপার হতে হয়। ছোট ভগবানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আমলাগাছী ডিইউ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, আমলাগাছী বিএম উচ্চ বিদ্যালয়, ঢোলভাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়, ঢোলভাঙ্গা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়সহ স্থানীয় সব শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানে যেতে নলেয়া খাল পার হতে হয়।
পূর্বনয়নপুর গ্রামের শিক্ষার্থী সোহেল ও শাকিল বাংলানিউজকে বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে ওই দুই গ্রামের মানুষের নলেয়া খাল
পারাপারে বাঁশের সাকোই ছিল একমাত্র ভরসা। দীর্ঘ ভোগান্তির পর নলেয়া খালের উপর স্বপ্নের সেতু নির্মাণ হলেও মাত্র ৩০০ মিটার রাস্তা তৈরি না করায় দুর্ভোগ পিছু ছাড়ছে না ওই দুই গ্রামের স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষের।
বর্ষা মৌসুমে তাদের দুর্ভোগ আরও বেড়ে যায়। জমিতে পানি ওঠায় ওই রাস্তা দিয়ে তথা ব্রিজের ওপর দিয়ে চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
সে সময় বিকল্প রাস্তা দিয়ে ৪/৫ কিলোমিটার পথ অতিরিক্ত পারি দিয়ে ভুক্তভোগী মানুষগুলোকে গন্তব্যে পৌঁছাতে হয়।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ব্রিজটি ৬০ ফিট প্রশস্ত হলেও তাদের চলাচল করতে হয় ১ ফিট রাস্তা তথা জমির আইল দিয়ে। যা দিয়ে রিকশা-ভ্যান তো দূরের কথা এ পথে বাইসাইকেলে চলার সময় আরোহীকে হেঁটে ক্ষেতের মধ্যে দিয়ে চলতে হয়। দু’জন হাটুরে কিংবা দু’জন শিক্ষার্থী দুদিকে পারাপার হতে গেলে একজনকে ক্ষেতের কাদা-জলে নামতে হয়।
এ ব্যাপারে মহদীপুর ইউনিয়ন পরিষদ ( ইউপি) চেয়ারম্যান তৌহিদুল মণ্ডল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ইউনিয়ন পরিষদের ওই রাস্তাটি পর্যাপ্ত প্রশস্ত নয়। রাস্তাটি প্রয়োজন অনুযায়ী প্রশস্ত করার জন্য দু’পাশের জমির মালিকদের সঙ্গে কথা বলে চলমান চল্লিশ দিনের কর্মসূচীতে মাটিকেটে রাস্তা তৈরি করা হবে।
পলাশবাড়ী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাশেদুল আলম রাসেল বাংলানিউজকে জানান, রাস্তাটি নির্মাণে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দ্রুত তা বাস্তবায়ন করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৩৮ ঘণ্টা মে ২০, ২০১৯
আরএ