তারা হলেন- এস এ পরিবহনের নির্বাহী পরিচালক আব্দুস সালাম, উত্তরা শাখার ম্যানেজার মোস্তফা ও সহকারী ম্যানেজার খসরুজ্জামান।
রোববার (১৯ মে) দিনগত রাতে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাব-৩ কার্যালয়ে নেওয়া হয়।
র্যাব-৩ এর অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল এমরানুল হাসান হাসান বাংলানিউজকে বলেন, দুই মাদকবিক্রেতা কক্সবাজার থেকে ইয়াবার চালান এসএ পরিবহনের মাধ্যমে পার্সেল করে নিজেরা বিমানে চলে আসেন। ঢাকায় নেমে একদিন পর রোববার ইয়াবার চালান রিসিভ করতে গেলে র্যাব সদস্যরা তাদের আটক করে। এক লাখ পিসের ওই ইয়াবার চালানটি ঝিনুকের তৈরি কানের দুল ও মাথার চুলের ক্লিপের কার্টুনে করে আনা হয়েছিল।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় এসএ পরিবহনের গাফিলতি স্পষ্ট। তবে ঘটনার সঙ্গে এসএ পরিবহন কর্তৃপক্ষের কোনো সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কিনা সে বিষয়ে ওই তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ইয়াবা বিক্রি কিংবা পরিবহনে তাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রোববার উত্তরার ৬ নম্বরের সেক্টরের আলাওল অ্যাভিনিউ এলাকার ২০ নম্বর বাড়ির এসএ পরিবহনের অফিসে অভিযান চালিয়ে এক লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধারসহ মীর কাশেম (৩১) ও মোরশেদ আলী (৩৩) নামে দুই মাদক বিক্রেতাকে আটক করে র্যাব-৩।
ঘটনাস্থলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৩ এর সিও এমরানুল হাসান বলেন, মাদক পরিবহনে কুরিয়ার সার্ভিসের অবশ্যই গাফিলতি আছে। এসএ পরিবহনের বিরুদ্ধে এর আগেও ইয়াবা পরিবহনের অভিযোগ উঠেছে, ধরাও পড়েছে। পরিবহন যখন হয় তখন যে নামেই পরিবহন হোক না কেন স্ক্যানারের মাধ্যমে তা দেখা উচিত।
কেউ বিস্ফোরক পাঠালেই কি তা পরিবহন করবে? মাদক থাকলেও পাঠাবে? এসএ পরিবহনসহ সব কুরিয়ার সার্ভিসকে সতর্ক থাকা উচিত বলে তিনি মনে করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৫১ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৯
পিএম/জিপি