রোববার (১৯ মে) রাত সাড়ে ১১টার দিকে পৌর এলাকায় বাসস্ট্যান্ড থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে ওই গৃহবধূর মা বাদী হয়ে বকশীগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন।
বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একে মাহাবুবুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, প্রায় ডজেন খানেক সম্ভব্য স্থানে অভিযান চালিয়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে পৌর এলাকায় বাসস্ট্যান্ড থেকে শ্বশুর হোসেন আলীকে গ্রেফতার করলেও নিহতের স্বামী মমিনকে ধরা যায়নি। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
ছয় বছর আগে চরকাউরিয়া মাস্টারবাড়ী এলাকার নুর ইসলামের মেয়ে ও শাহাজামাল (রা.) বিদ্যা নিকেতনের সহকারী শিক্ষিকা শারমিনের সঙ্গে মাঝপাড়া উত্তর এলাকার হোসেন আলীর ছেলে আব্দুল মমিনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুক দাবি করে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করে আসছে মমিন। তাসফিয়া নামে তাদের একটি মেয়ে রয়েছে।
যৌতুক না পেয়ে শুক্রবার রাতে ক্ষিপ্ত হয়ে লোহার রড দিয়ে শারমিনকে শ্বশুর হোসেন আলী ও স্বামী আব্দুল মমিন বেধড়ক পিটিয়ে আটকে রাখে। এসময় শিশু তাসফিয়াকেও মারধর করা হয়। খবর পেয়ে শনিবার বিকেলে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর হারুণ অর রশীদ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অবরুদ্ধ অবস্থায় শারমিনকে উদ্ধার করে বকশীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়।
বাংলাদেশ সময়: ০১৩৩ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৯
জিপি