রোববারও (১৯ মে) শ্রমিকরা তিন ঘণ্টা সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে। এসময় তারা সড়কেই আসর ও মাগরিবের নামাজ আদায় এবং সড়কের উপরেই ইফতার করেন।
এদিকে শ্রমিক নেতারা বৈঠক করে আগামী বুধবার থেকে বিকেলের পরিবর্তে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সড়ক-রেলপথ অবরোধের কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।
পাটকল শ্রমিকরা জানান, রোববার বিকেলে পাটকলগুলোর শ্রমিকরা প্রথমে নিজ নিজ মিল গেটে সমবেত হন। বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে ক্রিসেন্ট, প্লাটিনাম, খালিশপুর, দৌলতপুর ও স্টার জুটমিলের শ্রমিকরা মিছিল সহকারে নগরীর নতুন রাস্তা মোড়ে গিয়ে খুলনা-যশোর মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ করেন।
অবরোধের কারণে খুলনা-যশোর মহাসড়ক, বিআইডিসি রোড ও নতুন রাস্তা মোড় থেকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শ্রমিকরা মহাসড়কের ওপর আসরের নামাজ আদায় এবং পরে একই স্থানে বসে ইফতার করেন ও মাগরিবের নামাজ আদায় করেন। নামাজের পর তারা চলে যান।
এছাড়া আলিম ও ইস্টার্ন জুটমিলের শ্রমিকরা রোববার আটরা শিল্প এলাকায় এবং জেজেআই ও কার্পেটিং জুটমিলের শ্রমিকরা রাজঘাট এলাকায় একই কর্মসূচি পালন করেন।
এদিকে গত শনিবার বিকেলে সড়ক অবরোধ চলাকালে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন সেখানে গিয়ে শ্রমিকদের কর্মসূচি প্রত্যাহারের আহ্বান জানান।
তিনি শ্রমিকদের বলেন, সরকার দু’একদিনের মধ্যে শ্রমিকদের বকেয়া টাকা পরিশোধ করবে এবং অন্যান্য দাবি মেনে নিয়েছে। তবে জেলা প্রশাসকের আহ্বানে সাড়া দেয়নি শ্রমিকরা।
বাংলাদেশ রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ-নন সিবিএ ঐক্য পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক খলিলুর রহমান জানান, রোববার বেলা ১১টায় তারা ক্রিসেন্ট জুটমিল সিবিএ কার্যালয়ে বৈঠক করেন। সেখানে রাষ্ট্রায়ত্ত ৯টি পাটকলের শ্রমিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে বুধবার থেকে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ৬ ঘণ্টা মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ করার সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া তার আগ পর্যন্ত প্রতিদিন বিকালে ৩ ঘণ্টা করে সড়ক অবরোধ কর্মসূচি অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
পরিষদের আহবায়ক সোহরাব হোসেন বলেন, ৯ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত শ্রমিকরা কাজে ফিরে যাবে না। তাতে যতদিন আন্দোলন করার প্রয়োজন হয় ততদিন করবেন।
বাংলাদেশসময়: ২১১১ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৯
এমআরএম/এএ