ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মেহেরপুরে তাপদাহে বেড়েছে লেবু-বেল-ডাবের চাহিদা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১২ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৯
মেহেরপুরে তাপদাহে বেড়েছে লেবু-বেল-ডাবের চাহিদা

মেহেরপুর: টানা কয়েকদিনের মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ চলার পর স্বস্তির বৃষ্টির দেখা পাওয়া গিয়েছিল।আবারো শুরু হয়েছে তাপপ্রবাহ। অতি গরম এবং তাপদাহের কারণে মেহেরপুরের জনজীবনে নেমে এসেছে অস্থিরতা। 

মানুষ থেকে শুরু করে প্রাণীকুল পর্যন্ত সবাই তাপদাহের কারণে ওষ্ঠাগত। এ কারণে বেড়েছে বিভিন্ন রোগ বালাই।

 

শনিবার (১৮ মে) মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিলো ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গেল কয়েকদিন ধরে এ অঞ্চলের তাপমাত্রা ছিল ৩৫ থেকে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।

কয়েকদিন ধরে এ অঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। আরো দুই থেকে তিনদিন এ অবস্থা বিরাজ করবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।  

গাংনীর আব্দুল হান্নান, দোকানদার জালাল উদ্দীন ও সরকারি চাকরিজীবী আনিছুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, রোজা রেখে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে সাধারণ মানুষ বাইরে বের হতে হিমশিম খাচ্ছেন। মাত্রাতিরিক্ত ঘামের কারণে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। সঙ্গে শুরু হয়েছে বিদ্যুতের লো ভোল্টেজ।  

রিকশাচালক রহিম মিয়া বলেন, একান্ত প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বাইরে বের হচ্ছেন না। তাই এ সময়ে আমাদের রোজগারও কম হচ্ছে।  

ডায়রিয়া, আমাশয়, এ্যাজমা বা হাঁপানিসহ নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হয়ে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে গত দুই দিনে প্রায় সাড়ে তিনশ’ গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আড়াইশ’ ও মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেড় শতাধিক রোগী ভর্তি হয়েছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।  

গরমের কারণে নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আসছে রোগীরা।  ছবি: বাংলানিউজ
 
সদর উপজেলার ঝাউবাড়িয়া গ্রামের বৃদ্ধ ছিয়ারণ নেছা বাংলানিউজকে বলেন, গরম বাতাস শরীরে লাগলে আগুনের ঝাপ্টার মতো লাগে। ঘরে-বাইরে কোথাও কোনো স্বস্তি নেই। তাই দুপুর হলেই বাড়ির বাইরে এসে আম বাগানের নিচে আশ্রয় নেই। তিনি আরো বলেন, শিশু ও বয়ো-বৃদ্ধরা গরমে বেশি কাতর হয়ে পড়ছেন।  

গরমের কারণে গত কয়েকদিনে, লেবু ও বেলের শরবত এবং ডাবের চাহিদা বেড়ে গেছে। জেলার বিভিন্ন স্থানে মৌসুমী শরবত ও ডাব ব্যবসায়ীদের ব্যবসা করতে দেখা যাচ্ছে।  

চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আওবাহয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সামাদুল ইসলাম জানান, গত শনিবার সন্ধ্যায় জেলার তাপমাত্রা ছিল ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সোমবার বেলা ৩টা পর্যন্ত তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বিরাজ করছে। তবে এটা সন্ধ্যা পর্যন্ত আরো বেড়ে যাবে বলে জানান তিনি।  

মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. এহসানুল হক বাংলানিউজকে জানান, গত দুই দিনে হাসপাতালে প্রায় সাড়ে তিনশ’ রোগী ভর্তি হয়েছেন।  
গরম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মানুষের এ্যাজমা বা হাঁপানিসহ পেটের পিড়া বেড়ে গেছে। এছাড়াও শিশুরা শাসকষ্ট ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। এজন্য দিনের বেলায়  রোদ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন তিনি।  

বাংলাদেশ সময়: ২০০৮ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৯
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।