আতঙ্ক জেনেও নিরুপায় হয়ে তারা দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকির মধ্যে মহাসড়কের পাশে বসত ঘর নির্মাণ করে বসবাস করছেন।
মহাসড়কের পাশে বসবাসকারী গৌরনদীর মাহিলাড়া এলাকার কালাম শরীফ, নজরুল ইসলাম, কুলসুম বিবি, নুরজাহান বেগমসহ একাধিক বাসিন্দারা জানান, ১৯৮৮ সালের বন্যার সময় তারা মহাসড়কের পার্শ্ববর্তী মাহিলাড়া এলাকায় আশ্রয় নেন।
তারা আরও জানান, মহাসড়কের পাশে বসবাস ঝুঁকিপূর্ণ জানা সত্ত্বেও আর্থিক অভাব অনটনের কারণে তারা অন্যত্র জমি কিনে ঘর নির্মাণ করে বসবাস করতে পারছেন না।
গৌরনদী হাইওয়ে থানা সূত্রে জানা যায়, কয়েক বছর আগে বাটাজোর বাইচখোলা এলাকায় মহাসড়কের পাশে বসবাসকারী একটি ঘরের ওপর রাতের আঁধারে চলন্ত ট্রাক উল্টে পড়ে। এতে ঘুমন্ত অবস্থায় ট্রাক চাঁপায় স্বামী-স্ত্রীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছিলো। এছাড়া প্রায়ই সড়ক দুর্ঘটনায় ছিন্নমূল পরিবারের ছোট শিশুরা আহত হচ্ছে।
সূত্রে আরও জানা যায়, গত কয়েক বছরের ব্যবধানে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক কয়েকবার বর্ধিত করা হয়েছে। ফলে আগের তুলনায় মহাসড়কের পাশে বসবাসরত ছিন্নমূল পরিবারের খুপড়ি ঘরগুলোর মহাসড়কের খুব কাছাকাছি চলে এসেছে। এছাড়া মহাসড়কে আগের তুলনায় যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী গাড়ির সংখ্যা বহুগুণ বেড়েছে।
এদিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক চার লেনে রূপান্তরিত হওয়ার কাজ শুরু হলে মাথা গোঁজার শেষ সম্বলটুকুও হারাতে হবে ছিন্নমূল এসব পরিবারগুলোকে।
এ ব্যাপারে গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খালেদা নাছরিন বাংলানিউজকে জানান, বর্তমান সরকার ছিন্নমূল পরিবারদের সব প্রকার সরকারি সহায়তা দিচ্ছে। সরকারি নির্দেশে ইতোমধ্যে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। তালিকায় মহাসড়কের পাশে বসবাস করা ছিন্নমূল পরিবারদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৯ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৯
এমএস/আরআইএস/