শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় উপজেলার মালিগাছা ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রোজী খাতুন ওই গ্রামের মৃত আমিন উদ্দিনের স্ত্রী।
রোজী খাতুনের ভাই ইদ্রিস আলী বাংলানিউজকে বলেন, শনিবার সন্ধ্যায় রুকাইয়ার বাবার বাড়ি থেকে কয়েকজন লোক আসে তার শ্বশুর বা রোজীর বাড়িতে। এ সময় রুকাইয়ার স্বামী রঞ্জু বাড়িতে ছিলেন না। হঠাৎ বাড়ি থেকে চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে যায়। তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে রোজী ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে। তার শরীর থেকে রক্ত ঝরছিল। পরে তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায় প্রতিবেশীরা। সেখানে চিকিৎসক রোজীকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রতিবেশীদের অভিযোগ, রোজীর গলায় কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, পরিবার ও স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে মরদেহ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া মরদেহের গলায় আঘাত আছে। তবে হত্যা না আত্মহত্যা এখনই বলা সম্ভব হচ্ছে না।
তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার পুত্রবধূ রুকাইয়াকে আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর হত্যা না-কি আত্মহত্যা, সেটি জানা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭১৬ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৯
টিএ