ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

জাতীয় জাদুঘর দিবস উদযাপিত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০৫ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৯
জাতীয় জাদুঘর দিবস উদযাপিত কবুতর উড়িয়ে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করছেন অতিথিরা। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: ‘সংস্কৃতির কেন্দ্র হিসেবে জাদুঘর: ঐতিহ্যের ভবিষ্যৎ’ প্রতিপাদ্যে উদযাপিত হলো আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস।

শনিবার (১৮ মে) দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সভাপতি শিল্পী হাশেম খান বেলুন, ফেস্টুন ও কবুতর উড়িয়ে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। এরপর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণে জাদুঘর প্রাঙ্গণে র‍্যালি বের করা হয়।

 

পরে জাদুঘর ভবনের ৩য় তলায় নবসজ্জিত ২৩ নম্বর অস্ত্রশস্ত্র গ্যালারি উদ্বোধন করা হয়। জাদুঘর মিলনায়তনে ‘আমার দেখা জাদুঘর’ শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ ও নতুন কলেবরে মুদ্রিত জাদুঘরের ত্রৈমাসিক পত্রিকা ‘জাদুঘর সমাচার’র মোড়ক উন্মোচন করা হয়। অনুষ্ঠানের শেষাংশে ‘নলিনীকান্ত ভট্টশালী: বাংলার প্রত্নগবেষণায় একনিষ্ঠ সাধক’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট গবেষক ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে এম শাহনেওয়াজ। আলোচনায় অংশ নেন লেখক ও গবেষক আলী ইমাম, ইতিহাসবিদ ও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য অধ্যাপক ড. সোনিয়া নিশাত আমিন, ইতিহাসবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন, ফোকলোরবিদ ও বঙ্গবন্ধু অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান। এতে সভাপতিত্ব করেন শিল্পী হাশেম খান।

মূল প্রবন্ধে অধ্যাপক ড. এ কে এম শাহনেওয়াজ বলেন, নলিনীকান্ত ভট্টশালী ছিলেন একজন ইতিহাসবেত্তা, প্রত্নতত্ত্ববিদ, মুদ্রাবিজ্ঞানী, লিপিবিশারদ ও প্রাচীন বিষয়ে বিখ্যাত পণ্ডিত। প্রাচীন ও মধ্যযুগের বাংলার ইতিহাস ও সংস্কৃতির বহু অস্পষ্টতা অপসারণে তার অবদান রয়েছে। ১৯১৪ সালে তিনি সদ্যপ্রতিষ্ঠিত ঢাকা জাদুঘরের তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে যোগদান করেন। জাদুঘরের চৌহদ্দির মধ্যেই কেটেছে তার সারাজীবন। অসাধারণ নিষ্ঠা ও কর্মশক্তি বলে তিনি এ সংগ্রহশালাকে খ্যাতিসম্পন্ন প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করেছিলেন।  

জাদুঘর ঘুরে দেখছেন অতিথিরা।  ছবি: বাংলানিউজ

আলী ইমাম বলেন, জাতি হিসেবে বাংলাদেশের আছে হাজার বছরের সমৃদ্ধ ইতিহাস ও ঐতিহ্য। জাদুঘর হচ্ছে সংস্কৃতির প্রতিরূপ। নলিনীকান্ত ভট্টশালীর প্রচেষ্টার জন্যই আমরা আজকের এ জাদুঘর পেয়েছি। একটি দেশের জাদুঘর পরিদর্শনের মাধ্যমে ওই জাতি ঐতিহাসিকভাবে কতটা সমৃদ্ধ তা জানা যায়।

অধ্যাপক ড. সোনিয়া নিশাত আমিন বলেন, নলিনীকান্ত ভট্টশালী ছিলেন অন্যধরনের মানুষ। তিনি মনে-প্রাণে কাজ করতেন প্রত্নতত্ত্ব নিয়ে। গবেষণা করতেন, প্রত্নতত্ত্ব সংগ্রহ করতেন দূর-দূরান্ত থেকে। তার মতো মানুষকেই প্রত্নতত্ত্বের সাধক বলা সাজে।  

অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন বলেন, নলিনীকান্তের দীর্ঘ ৩৩ বছরের কর্মজীবনে অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে আমরা পেয়েছি জাদুঘরের বিশাল সমৃদ্ধ ভাণ্ডার। আমাদের উচিৎ তার আদর্শ-নীতি অনুসরণ করে জাদুঘরকে আরও সমৃদ্ধ করা।

অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান বলেন, জাদুঘরের প্রতিটি নিদর্শন অত্যন্ত সুন্দর ও সুপরিকল্পিত ভাবে প্রদর্শন করতে হবে। জাদুঘর পরিদর্শন করলেই জানতে পারবো আমাদের সমৃদ্ধ ইতিহাস-ঐতিহ্য।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৯
এইচএমএস/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।