ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

অনলাইনে মোবাইল বিক্রির বিজ্ঞাপন, আনতে গেলেই ছিনতাই!

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৩ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৯
অনলাইনে মোবাইল বিক্রির বিজ্ঞাপন, আনতে গেলেই ছিনতাই! র‌্যাবের হাতে আটক ছিনতাই চক্রের ছয় সদস্য।

ঢাকা: বাজারের চেয়ে কম দাম উল্লেখ করে অনলাইনে দেওয়া হয় মোবাইল ফোন বিক্রির বিজ্ঞাপন। অনলাইনে পণ্য কেনা- বেচার মাধ্যম বিক্রয় ডটকমসহ বিভিন্ন পেইজে এসব বিজ্ঞাপন দেখে কেউ মোবাইল ফোন কিনতে আগ্রহী হলেই যেতে বলা হয় নির্দিষ্ট কোনো স্থানে। আদতে এর পুরোটাই ছিনতাইকারী চক্রের ফাঁদ।

মোবাইল আনতে গেলেই সঙ্গে থাকা টাকা-পয়সা, মোবাইল ফোন বা যেকোনো মূল্যবান সামগ্রী খোয়ান আগ্রহী ব্যক্তি। উল্লেখিত স্থানে আগে থেকেই ওৎপেতে থাকা ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা ধারালো অস্ত্রের মুখে কেড়ে নেন সবকিছু।

শুক্রবার (১৭ মে) দিনগত রাতে গাজীপুরের টঙ্গী পূর্ব থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিনব পন্থায় ছিনতাইকারী চক্রের ছয় সদস্যকে আটক করেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব-১) সদস্যরা।

আটক ছয়জন হলেন- শাহিন (২০), শাকিল হাসান (১৯), ফারুক (২০), সালাউদ্দিন আকবর (২০), রহমত উল্লাহ (১৯) ও রাসেল (১৯)। এসময় তাদের কাছ থেকে তিনটি সুইচ গিয়ার চাকু, ছয়টি মোবাইল ফোন ও ৮৫০ টাকা উদ্ধার করা হয়।

আটকদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব জানায়, তারা একটি সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা পরস্পরের যোগসাজশে বিভিন্ন অনলাইন পেইজে স্বল্পমূল্যে মোবাইল ফোন বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়ে অভিনব পন্থায় ছিনতাই করে আসছিলেন।

প্রাথমিক পর্যায়ে পণ্য কেনা-বেচার বিভিন্ন অনলাইন পেইজে বাজারের চেয়ে কম দামে মোবাইল ফোন বিক্রির বিজ্ঞাপন দিতেন। বিজ্ঞাপন দেখে সাধারণ মানুষ এই চক্রের সদস্যদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করতেন। আর এ সুযোগে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী নির্ধারিত সুবিধাজনক এলাকায় আগ্রহী ব্যক্তিকে ডেকে নিয়ে মোবাইল, টাকা-পয়সা ছিনতাই করে পালিয়ে যেতেন।

র‌্যাব-১ এর স্কোয়াড কমান্ডার (সিপিসি-২) সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সালাউদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, চক্রটির মূলহোতা শাহিন ও শাকিল। শাহিন ছিনতাই কাজের কৌশল হিসেবে প্রাথমিকভাবে অনলাইনে বিক্রয় ডটকম পেইজে বাজারের চেয়ে অনেক কম দামে মোবাইল ফোন বিক্রির বিজ্ঞাপন দিতেন। পরবর্তীতে শাকিল পূর্ব নির্ধারিত সুবিধাজনক এলাকায় ভিকটিমদের আসতে বলতেন। ভিকটিম নির্ধারিত স্থানে গেলে মারধর করে মোবাইল ফোন, নগদ অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রী ছিনিয়ে নিতেন।

চক্রটি টঙ্গী, আব্দুল্লাহপুর, চৌরাস্তা, বেড়িবাঁধ, আশুলিয়া ও আশপাশের এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে এ ধরনের কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিলেন। আটকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান এএসপি সালাউদ্দিন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২২ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৯
পিএম/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad