ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

টিকিট আছে, যাত্রী নেই 

তামিম মজিদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৩ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৯
টিকিট আছে, যাত্রী নেই  গাবতলী বাস টার্মিনালে টিকিট কিনছেন যাত্রীরা। ছবি: জি এম মুজিবুর

ঢাকা: ঈদুল ফিতরের বাসের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হলেও টিকিটের চাহিদা কম। পর্যাপ্ত টিকিট থাকলেও যাত্রী নেই বলছেন সংশ্লিষ্টরা। রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালে গিয়েও দেখা গেলো একই চিত্র। কাউন্টারগুলোতে যাত্রীদের চাপ নেই বললেই চলে। 

যদিও শুক্রবার (১৭ মে) টিকিট বিক্রির প্রথম দিনেই ৩০ ও ৩১ মে, ৩ ও ৪ জুনের টিকিট বিক্রি শেষ হয়ে গেছে। তবে আগামী ২ জুনের টিকিটের চাপ বেশি।

 

যাত্রীরা বলছেন, টিকিট মিললেও নিজেদের সুবিধাজনক দিনের টিকিট মিলছে না। আগামী ৩০ মে, ৩ ও ৪ জুনের টিকিটে কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হয়েছে।  

যাত্রীদের অভিযোগ, অধিক মুনাফার আশায় বাসের টিকিটে কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হয়েছে। বাস কাউন্টারগুলো আগামী ৩০ মে, ৩ ও ৪ জুনের নির্দিষ্ট পরিমাণ টিকিট মজুদ রেখেছে, সেটা ঈদের দুইদিন আগে বেশি দামে বিক্রি করা হবে। তখন বাধ্য হয়ে বেশি দামে টিকিট কিনেন যাত্রীরা।  

শনিবার (১৮ মে) সকাল ৯টায় রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালের বালুর মাঠের হানিফ কাউন্টারে গিয়ে দেখা গেলো, কাউন্টারে বসে আছেন টিকিট বিক্রেতারা। হঠাৎ দুই-চারজন করে আসছেন আগাম টিকিট কিনতে। কিন্তু চাহিদার দিনের টিকিট শেষ। তাই অনেকে পরিবারের অন্য সদস্য যারা চাকরি করেন না, তাদের বাড়ি ফেরা নিশ্চিত করতে আগামী ২৭, ২৮ ও ২৯ মে’র টিকিট কিনছেন।  গাবতলী বাস টার্মিনালে টিকিট কিনতে আসা যাত্রীরা।  ছবি: জি এম মুজিবুরপরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অন্যান্য বছর এমন সময়ে টিকিট কেনায় যাত্রীদের ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হতো, কিন্তু এবারের চিত্র একেবারেই ভিন্ন। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, এবার ঈদে লম্বা ছুটি। আগামী ৩০ মে অফিস করে অনেকে চলে যাবে। ৩১ মে ও ১ জুন সাপ্তাহিক ছুটি আর মধ্য খানে শুধু ২ জুন কর্মদিবস, তাই অনেকে ছুটি নিয়ে আগেই বাড়ি চলে যাবে। কারণ ৫ জুন ঈদ ধরে টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে।  

হানিফ পরিবহনের এক্সিকিউটিভ ওমেশ সরকার বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের কাছে শুধু আগামী ২৭, ২৮ ও ২৯ মে’র পর্যাপ্ত টিকিট আছে। আর আগামী ৩০, ৩১ মে, ১, ২ ও ৩ জুনের আগাম টিকিট শুক্রবার (১৭ মে) শেষ হয়ে গেছে।  

তিনি বলেন, এবার ঈদে লম্বা ছুটি হওয়ায় যাত্রীর চাপ কম।  

শুধু হানিফ পরিবহনই নয়, শ্যামলী, এনা, নাবিলসহ অন্য পরিবহনের টিকিট কাউন্টারেরও একই অবস্থা। যাত্রীদের চাপ অনেকটাই কম।  গাবতলী বাস টার্মিনালে টিকিট কিনতে আসা যাত্রীরা।  ছবি: জি এম মুজিবুরগাবতলী বাস টার্মিনালের কাউন্টারে ২ জুনের টিকিটের জন্য এসেছিলেন ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুস শুকুর। কিন্তু তিনি কাঙ্খিত দিনের টিকিট পাননি, সেটা আগেই শেষ হয়ে গেছে। তাই তিনি বাড়ি ফেরার আগাম টিকিট কিনেননি।

তিনি বলেন, ঈদের আগের দিন বেশি দামে টিকিট মিলে। কাউন্টারে আসলে বাস পাওয়া যায়।  

তবে শনিবার আগাম টিকিটে বাড়তি দাম রাখার তেমন অভিযোগ মেলেনি। যদিও শুক্রবার (১৭ মে) কিছু পরিবহন বেশি দামে টিকিট বিক্রি করেছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের।  
 
কল্যাণপুর বাস টার্মিনালে কথা হয় রাজধানীর একটি বেসরকারি কোম্পানির কর্মকর্তা আবু সাদ সোহাইলের সঙ্গে। তিনি জানান, ঈদের আগে বেশি দামে টিকিট বিক্রির জন্য সিন্ডিকেট করে পরিকল্পিতভাবে সংকট তৈরি করা হয়েছে।  

দিনাজপুর যাওয়ার জন্য যেদিনের টিকিট চেয়েছি, তা পাইনি বলেও জানান সাদ।  

ঈদে টিকিটের চাহিদা কেমন জানতে চাইলে কল্যাণপুর শ্যামলী বাস কাউন্টারের টিকিট বিক্রেতা নিজাম উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, আগামী ৩০ মে’র আগের টিকিট আছে। বাকিটা বিক্রি হয়ে গেছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১০৩৩ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৯
টিএম/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।