শনিবার (১৮ মে) সকালে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের উপজেলার কাকডাঙ্গা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। বাসটি খুলনার রূপসা থেকে গোপালগঞ্জের গোনা পাড়ার উদ্দেশে যাওয়ার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- বাগেরহাট সদর উপজেলার কোদলা গ্রামের হাকিমের ছেলে হেকমত বিশ্বাস (৪৫), খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার অর্জুনপুর গ্রামের কাদের সরদারের ছেলে কুদ্দুস সরদার (৬০), খুলনার রূপসা উপজেলার নৈহাটি গ্রামের আবুবক্করের ছেলে বাস চালক ফরহাদ (৪৫), রূপসা উপজেলার পাচআনি গ্রামের ছালামের ছেলে বাসের হেলপার সুমন এবং সড়কের পাশের নির্মান শ্রমিক কয়রা উপজেলার দেলোয়ার (৬০) ও ফকিরহাট উপজেলার বৈলতলী গ্রামের সেলিম শেখের স্ত্রী হোসনেয়ারা (৩০)।
নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে কাটাখালী হাইওয়ে থানায় রাখা হয়েছে।
এদিকে ঘটনার পরপরই ফকিরহাট থানা পুলিশ, কাটাখালী হাইওয়ে থানা পুলিশ এবং বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা হতাহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠায়।
প্রত্যক্ষদর্শী হাবিবুল্লাহ মাহবুবু বলেন, বাসটি দ্রুতগতিতে এসে প্রথমে একটি ছোট গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে এবং রাস্তার পাশের এক শ্রমিককে চাপা দিয়ে আবার উল্টো দিকে ঘুরে বড় একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এরপরে আমরা সবাই দৌড়ে আসি উদ্ধার কাজে অংশ নেই।
আরেক প্রত্যক্ষদর্শী হাফিজুর রহমান বলেন, মাঠে কাজ করছিলাম, হঠাৎ শুনি বিকট শব্দ। দৌড়ে এসে দেখি বাসটির উল্টে গেছে। আর লোকজন মা-বাবা করে চিল্লাছে।
মূলঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিটলার গোলদার বাংলানিউজকে বলেন, গাড়িটি দেখে মনে হচ্ছিল এটি লক্কর-ঝক্কর অবস্থা। দ্রুত গতিতে গাড়ি চালিয়ে এসেই কাকডাঙ্গা এলাকায় এসে দুর্ঘটনায় পড়ে। মহাসড়কে এ ধরনের লক্কর-ঝক্কর গাড়ি চলাচলেই এ দুর্ঘটনা ঘটছে।
ফকিরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবু জাহিদ বাংলানিউজকে বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠিয়েছি। নিহত ছয় জনের মরদেহ কাটাখালী হাইওয়ে থানায় নেওয়া হয়েছে।
বাগেরহাট ফায়ার সাভিসের উপ সহকারী পরিচালক মাসুদ সরদার বাংলানিউজকে জানান, খুলনার রূপসা থেকে গোপালগঞ্জের গোনা পাড়ার উদ্দেশে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী বাস (বগুড়া ব-৪৭৪৫) ফকিরহাট উপজেলার ফলতিতা বাজারের কাকডাঙ্গা এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে খাদে পড়ে ঘটনাস্থলেই চাকলসহ ৫ জন ও আহত একজন হাসপাতালে মারা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৪ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৯
এসএইচ