ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সচেতন রোজাদারদের পাতে ‘অপরিহার্য’ ফল

এম আব্দুল্লাহ আল মামুন খান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩২ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৯
সচেতন রোজাদারদের পাতে ‘অপরিহার্য’ ফল ফলের দোকান, ছবি: বাংলানিউজ

ময়মনসিংহ: সুতি কাবাব, জালি কাবাব, হালিম, চিকেন ফ্রাই-ইফতারি আইটেমে রাশভারী এসব নামে জিভে জল আসারই কথা। কিন্তু দিনমান অনাহারে থাকার পর ভাজাপোড়া এসব আইটেম ইফতারির তালিকায় অনেকেই রাখতে চান না। সচেতন এমন রোজাদারদের পাতে দেশি-বিদেশি ফল যেন অপরিহার্য।

তপ্ত রোদের প্রতিটি রোজায় সন্ধ্যায় তাদের ইফতারে বিভিন্ন প্রকার ফলের সমাদর থাকে বেশি। স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টি বিবেচনা করেও ইফতারে তাই ফলের জুড়ি নেই।

বিশেষ করে রোজার জনপ্রিয় ফল আম এখন হাতের নাগালে থাকায় বেচা-বিক্রিতে শীর্ষে রয়েছে মধুমাসের এ ফল। তাই ফলের দোকানগুলোতে ভিড় থাকায় অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও ফল কিনে আনন্দের সঙ্গেই বাসায় ফিরতে দেখা গেছে অনেককে।

শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে নগরের নতুন বাজার মোড়ের বেশ কয়েকটি ফলের দোকানঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।  

দেখা গেছে, নগরের নতুন বাজার মোড়ের দোকানগুলো হরেক রকমের ফলে ঠাসা। এখানে থরে থরে সাজানো সবুজ ও লাল রাঙা আপেল, বড় ও ছোট হিমসাগর আম। ঝুলছে ইন্ডিয়ান ও অস্ট্রেলিয়ান আঙ্গুর, নাশপাতি।

দোকানগুলোতে মৌ মৌ গন্ধ ছড়াচ্ছে ফলের রাজা আম। তবে এ আমগুলো ভালোভাবে পাকেনি। ক্রেতাদের মতে বাজারে উঠা আমগুলো ‘অপরিপক্ক। ’ সপ্তাহখানেকের মধ্যেই আরও নতুন জাতের আমে চাঙ্গা হবে বাজার।

অবশ্য আশা জাগানিয়া ব্যাপার, ফরমালিন ব্যবহারে সরকারের কঠোর নজরদারির কারণে এর প্রবণতা নেই, এমন দাবি স্থানীয় ফল ব্যবসায়ীদের।  

স্থানীয় ফল ব্যবসায়ী মহব্বত বাংলানিউজকে জানান, তার দোকানে দুই প্রকারের আপেল ২০০ টাকা কেজিতে, মাল্টা ২০০ টাকা কেজি, ছোট হিমসাগর আম ১০০ টাকা, বড়টি ১২০ টাকা কেজি, আঙুর ইন্ডিয়ান ৩৫০ টাকা কেজি, লাল ৪৬০ টাকা কেজি, নাশপাতি ২৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।  

যশোর থেকে আম আর ঢাকার বাদামতলী থেকে বাদ বাকি ফল সরবরাহ করে এখানকার বাজারে বিক্রি করেন তারা।

তবে ক্রেতারা অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় বাজারে উঠা আমের মান ভালো নয়। বেশিরভাগ আমই টক। পাকা আমের স্বাদই পাওয়া যাচ্ছে না। রাসায়নিক দিয়ে এসব আম পাঁকানো হয়েছে কি-না এ নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন।

এসবের বাইরে দেশি ফল লিচু, তরমুজ, বাঙ্গি, পেয়ারা ও ডালিম পাওয়া যাচ্ছে। সুস্বাদু ও রসালো এসব ফলের দাম রীতিমতো অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে ক্রেতাদের।  

বিশেষ করে অসহনীয় তাপদাহের মধ্যে বিশেষ উপকারী তরমুজের আকাশচুম্বী দাম সাধ্যের বাইরে রেখেছে মধ্যবিত্তদের।  

নগরের নতুন বাজার ফলের দোকানে তরমুজ কিনতে আসা রোজাদার আমান উল্লাহ ক্ষোভপ্রকাশ করে বলেন, তরমুজের এমন দামের উত্তাপ মানা যায় না। তরমুজ ব্যবসায়ীরা প্রকাশ্যেই পকেট কাটছেন।

মধুমাস যাত্রা শুরু করলেও এখনো বাজারে দেখা নেই কাঁঠাল ও জামের। তবে সপ্তাহখানেকের মধ্যেই জাতীয় ফল কাঁঠালের আগমন ঘটবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় খুচরা ব্যবসায়ীরা।  

তারা বলছেন, এখানকার বেশিরভাগ কাঁঠালই ভালুকার। সেখানে অল্প পরিমাণে কাঁঠাল উঠছে। তবে স্থানীয় বাজারে শুরুতেই এ দাম খুব চড়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৬ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৯
এমএএএম/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।