ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ভিক্ষুক ও দুস্থদের পুনর্বাসন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৫ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৯
জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ভিক্ষুক ও দুস্থদের পুনর্বাসন

কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রাম জেলার ভিক্ষুক ও দুস্থদের পুনর্বাসনের মাধ্যমে আয়বৃদ্ধিমূলক কাজে সম্পৃক্ত করে স্বাবলম্বী করার ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সন্ধ্যায় স্বপ্নকুঁড়ি রিসোর্স সেন্টারে ভিক্ষুক ও দুস্থদের পুনর্বাসনে নগদ অর্থসহ চাহিদা মোতাবেক বিভিন্ন সামগ্রী বিতরণের মাধ্যমে এ উদ্যোগের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছে।  

মূলত জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ও বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় ইফতারের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ এবং এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের স্বেচ্ছায় দেওয়া একদিনের বেতনের অর্থ দিয়ে এ সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

অনুষ্ঠানে ৩০ জন ভিক্ষুক ও দুস্থকে ১০টি গাভী, ১০টি অটোরিকশা ও ১০টি ভ্যানগাড়ি হস্তান্তর করা হয়েছে। পাশাপাশি পাঁচ জনকে শিক্ষা সহায়তা হিসেবে জনপ্রতি ১০ হাজার টাকা ও একজনকে ল্যাপটপ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া চিকিৎসা সহায়তা বাবদ ১০ জনকে জনপ্রতি ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে।  

অন্যদিকে জেলার নয়টি উপজেলায় ১০ জন করে মোট ৯০ জনের পুনর্বাসনের জন্য ইউএনওদের মাধ্যমে প্রতি উপজেলায় এক লাখ করে মোট নয় লাখ টাকা হস্তান্তর করা হয়েছে।

এছাড়া কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে দুই জনকে গৃহনির্মাণ সহায়তা, ১৫ জনকে ১৫টি সেলাই মেশিন, সিভিল সার্জন অফিসের পক্ষ থেকে কৃত্রিম পা সংযোজনের প্রতিশ্রুতি ও কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে ঔসব পরিবারের ৫৫ শিশুকে নতুন জামাকাপড় দেওয়া হয়েছে।

এ উদ্যোগের আওতায় পাঁচ হাজার ৩৪৪ জন ভিক্ষুক ও দুস্থ মানুষ রয়েছেন। পর্যায়ক্রমে তাদের সবাইকে এ ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন বাংলানিউজকে বলেন, জেলার পাঁচ হাজার ৩৪৪ জন ভিক্ষুক ও দুস্থকে পুনর্বাসনের মাধ্যমে আয়বৃদ্ধিমূলক কাজে সম্পৃক্ত করতে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ও সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় এ কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো। পর্যায়ক্রমে সব ভিক্ষুক ও দুস্থকে কর্মসংস্থানের মাধ্যমে পুনর্বাসিত করে কুড়িগ্রাম জেলাকে ভিক্ষুক ও দুস্থ মুক্ত করা হবে।

জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ জয়নুল বারী। বিশেষ অতিথি ছিলেন- রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য, কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার মো. মেহেদুল করিম, সিভিল সার্জন ডা. এসএম আমিনুল ইসলাম, প্রেসক্লাব সভাপতি এড. আহসান হাবীব নীলু প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৯
এফইএস/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।