ইফতারের সময় ঘনিয়ে আসলে তাই রাজশাহী মহানগরের বড় বড় রেস্তোরাঁর বাইরে ভেসে বেড়ায় মুরগির কাবাবের সুবাস। খাবার ট্রেতে করে সযত্নে আস্ত চিকেন সাজিয়ে রাখা হচ্ছে থরে থরে।
কাবাব হতে থাকা আস্ত মুরগিগুলো দেখলে লোভ সামলানোই দায়। আদিকাল থেকেই বাঙালির খাবার প্রীতি একটু বেশিই। বলা চলে খাবারের ব্যাপারে অনেকটা সৌখিনও। নিত্য নতুন স্বাদ আর পদের অনেক খাবারকেও ভিন্ন মাত্রা দিয়ে নিজেদের সংস্কৃতির সঙ্গে মিলিয়ে নেওয়া হয়েছে।
সেসব খাবারের নাম তাই বলেও শেষ করা যাবে না। এজন্য রমজান এলেই ইফতারে এসব খাবারের কদর দ্বিগুণ বেড়ে যায়। রাজধানী ঢাকার চকের ইফতারের সাদৃশ্য আনতে তাই মধ্য রমজানের ইফতারে আস্ত চিকেন বিশেষভাবে লোভনীয় হয়ে উঠেছে রসনা বিলাসীদের কাছে।
সাধারণত রেস্তোরাঁয় গিয়েই পছন্দের তালিকা থেকে ওর্ডার করা প্রথম সুস্বাদু মুখরোচক খাবার এটি। এক সময় মধ্যপ্রাচ্যে বেশি প্রচলিত ছিল। শেষ কয়েক বছর থেকে দেশীয় খাবার সংস্কৃতিতে আলাদা জায়গা করে নিয়েছে মুরগি দিয়ে তৈরি বিশেষ এ খাবারটি।
প্রসেস বা মেডিমেট করা আস্ত মুরগি একটি বিশেষ কড়াইয়ে অধিক সময় ধরে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ভেজে নেওয়া হয়। মুরগির কাবাব করার এ পুরো প্রক্রিয়াটিই চলে ক্রেতাদের চোখের সামনেই।
মূলত খাবারটির প্রতি ক্রেতাদের আকর্ষণ ও চাহিদা তৈরি করায়ই এর মূল লক্ষ্য। এছাড়া এর প্রক্রিয়ার ফলে খাবারটি নিয়ে ক্রেতাদের মনেও সন্দেহ বা আশঙ্কা কম থাকে।
তাই ইফতারে অন্য আইটেমের চেয়ে মশলা মাখা আস্ত চিকেন বেশি চলে। রমজানে ফুল, হাফ বা কোয়াটার গ্রিল পরিমাপে বেশ চলছে এ আস্ত চিকেন। গরুর মাংসের প্রতি স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের ঝোঁক কমায় বেড়েছে মুরগির মাংসের এ খাবারের কদর।
রাজশাহীর অভিজাত রেস্তোরাঁ বিশাল, চিলিস, মিটলফ, রহমান’স বারবিকিউ, মেমরী, রহমানিয়া, রহমানিয়া-প্লাস ও বিন্দুসহ প্রথম শ্রেণির সব রেস্তোরাঁয় তাই বিশেষভাবে উপস্থাপন করছে আস্ত মুরগি দিয়ে তৈরি করা এ খাবারটি। প্রতিদিন বিকেলের টেবিলে ইফতার পণ্যের পসরায় বাড়তি আকর্ষণ তৈরি করছে আস্ত চিকেন।
রহমানিয়া রেস্তোরাঁর স্বত্বাধিকারী রিয়াজ আহমেদ খান বাংলানিউজকে বলেন, এ খাবারটি বড় থেকে ছোট প্রায় সব বয়সীদেরই পছন্দের। আস্ত গ্রিল চিকেনের দাম রাখা হচ্ছে ৩শ’ টাকা। হাফ ১শ’ ৫০ টাকা। আর কোয়াটার চিকেন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়।
মহানগরের প্রাণকেন্দ্র সাহেব বাজারে ইফতার কিনতে আসা শফিকুল ইসলাম নামের এক ক্রেতা বলেন, মধ্য রমজান চলছে। এরই মধ্যে অনেকগুলো রোজা চলে গেছে। শেষ সময়ে পরিবারের সদস্যদের ইফতারের স্বাদের ভিন্নতা দিতে এ আস্ত চিকেন কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
বাড়ির প্রতিটি সদস্যরই পছন্দের খাবার এটি। তাই সাপ্তাহিক ছুটির দিনে পরিবারের সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে ইফতার করবেন। এ আস্ত চিকেনই থাকবে ইফতারের মূল আকর্ষণ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৪ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৯
এসএস/ওএইচ/