দুদকের উপপরিচালক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য বাংলানিউজকে বলেন, এ অভিযোগপত্র শিগগিরই আদালতে দাখিল করা হবে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন— ভালুকার সাবেক সাব-রেজিস্ট্রার মো. ফজলার রহমান, জমির দলিল লেখক মো. আকরাম হোসেন জুয়েল, জমির ভুয়া মালিক মো. রুহুল আমিন, মো. খোকা মিয়া, জুবেদা খাতুন ও মাজেদা বেগম।
দুদক বলছে, ভালুকা থানার পালগাঁও মৌজায় বনবিভাগের গেজেটভুক্ত ১২৭ শতাংশ সরকারি জমি দখলের অভিযোগে ২০১৭ সালের ২৯ অক্টোবর ওই সাত জনকে আসামি করে মামলা করা হয়।
পরে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মো. এনামুল হক মামলার তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পান।
২০১৬ সালের ৩ অক্টোবর ভালুকা উপজেলা ভূমি অফিস থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে সংরক্ষিত বনভূমি হিসাবে চূড়ান্তভাবে ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত গেজেটভুক্ত ওই জমি হন্তান্তর, নামজারি, জমা-খারিজ, রেকর্ড সংশোধন ইত্যাদি কার্যক্রম স্থগিত রাখার নির্দেশনা জারি করা হয়েছিলো।
সেইসঙ্গে বনবিভাগের গেজেটভুক্ত জমি রেজিস্ট্রি করা হয়ে থাকলেও তা বাতিল করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ময়মনসিংহ বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয়কে নির্দেশ দেওয়া হয়।
ওই বিজ্ঞপ্তির পরও সাব রেজিস্ট্রার ফজলার রহমান ‘আইন ও বিধি’ অনুসরণ না করে দালাল চক্রের যোগসাজশে ছয়টি দলিলে রেজিস্ট্রি করে সরকারি সম্পত্তি মোসাদ্দেক আলী ফালুকে হস্তান্তর করেন বলে দুদকের অভিযোগ।
এসব অভিযোগে মোসাদ্দেক আলী ফালু ও সাব রেজিস্ট্রার ফজলার রহমানসহ অন্যদের আসামি করে ভালুকা থানায় ছয়টি মামলা করে দুদক।
এসব মামলার মধ্যে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) একটি মামলার অভিযোগপত্র অনুমোদন দেওয়া হলো বলে দুদকের উপপরিচালক প্রণব কুমার জানান।
বিএনপি চেয়ারপারসনের এক সময়কার সচিব মোসাদ্দেক আলী ফালু পরে উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছিলেন। ২০১৭ সালে ঘোষিত কমিটিতে তাকে উপদেষ্টা পরিষদ থেকে সরিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান করা হলে তিনি পদত্যাগ করেন।
অফশোর কোম্পানি খুলে ১৮৩ কোটি ৯২ লাখ টাকা দুবাইয়ে পাচারের অভিযোগে গত ১৩ মে একটি মামলা করেছে দুদক, সেখানেও ফালুকে আসামি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৬ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৯
আরএম/এমজেএফ