বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার (এসপি) সাইফুল্লাহ আল মামুন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সাংসারিক বিভিন্ন বিষয়ে মতবিরোধ ও প্রতিবন্ধী শিশুর চিকিৎসায় অনেক টাকা খরচ করেও কোনো ফল না পাওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে ভাবি ও দেবরের মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা ওমর ফারুক বাদী হয়ে বুধবার (১৪ মে) রাত ১০টার দিকে মাহাবুলকে একমাত্র আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।
এসপি আরও বলেন, আসামি মাহাবুলকে নাটোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট খোরশেদ আলমের আদালতে হাজির করা হয়। এসময় ১৬৪ ধারায় এ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন তিনি। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) আকরামুল হাসান, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুর রহমান প্রমুখ।
ঢাকায় একটি গার্মেন্টস কারখানায় কর্মরত মাহমুদুল হাসান মুন্নার স্ত্রী হালিমা তার দুই বছরের প্রতিবন্ধী ছেলে আব্দুল্লাহকে নিয়ে নলডাঙ্গার বাশিলা গ্রামে স্বামীর পরিবারের সঙ্গে থাকতেন।
গত ১৪ মে রাতে শিশু সন্তান আব্দুল্লাহকে নিয়ে ঘুমাতে যান মা হালিমা। রাত ১২টার পর কোনো এক সময় ঘরে ঢুকে তাদের হত্যা করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের দেবর মাহাবুল আলম মুক্তার ও তার স্ত্রী তানিয়া বেগমকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে মাহাবুল আলম মুক্তা পারিবারিক কলহ ও প্রতিবন্ধী ভাতিজার চিকিৎসার ব্যয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে তার ভাবি ও ভাতিজাকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, মে ১৬ ২০১৯
জিপি