বুধবার (১৫ মে) রাতে পৌনে ১০টা থেকে পৌনে ১১টা পর্যন্ত এক টানা ঝড় ও বৃষ্টি হয়। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে গাছপালা।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, ঝড়-বৃষ্টির কারণে অনেক কৃষকের জমিতে থাকা ধান এখন পানির নিচে। এছাড়া বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে যাওয়ায় রাত থেকে বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। এছাড়া রাস্তার পাশে গাছপালা ভেঙে পড়েছে।
আম বাগান চাষি সানঘাট গ্রামের মোমিনুল ইসলাম, আড়পাড়া গ্রামের সাহাবুদ্দীন বাংলানিউজকে জানান, আর কয়েক দিন পরেই হিমসাগর, লেংড়াসহ অন্যান্য আম ভাঙার কথা। আমাদের যে স্বপ্নটুকু ছিল তা ঝড়ে নষ্ট করে দিয়েছে। ঝড়ো হাওয়ায় প্রায় ৫০ ভাগ আম ঝরে গেছে।
গাংনী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কেএম শাহাবুদ্দীন আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঝড়ে উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে বোরে ধান, বিভিন্ন সবজি, আম, লিচু, কলাসহ উঠতি ফসলের ক্ষতি হয়েছে। আমাদের কর্মকর্তারা মাঠে ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে কাজ করছে।
মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গাংনী জোনাল অফিসের এজিএম কম রাসেল আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, প্রচণ্ড ঝড়ে পল্লী বিদ্যুতের ৭/৮টি খুঁটি ভেঙে পড়েছে। রাত থেকেই গাংনীর সব এলাকাই বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিকল হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুতের তার ছিড়ে গেছে। বিদ্যুত লাইনের মেরামতের কাজ চলছে।
গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিষ্ণুপদ পাল বাংলানিউজকে জানান, ঝড়ে গাংনী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রচুর পরিমাণ গাছপালা ভেঙে পড়েছে। ক্ষতি হয়েছে আম লিচুসহ উঠতি ফসলের। কৃষি বিভাগ ও সরকারের ত্রাণ বিভাগ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে খোঁজ নিয়ে ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৯ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৯
এনটি