বুধবার (১৬ মে) রাত পৌনে ১২টার দিকে মহিপুর থানা হাজতের টয়লেটের (শৌচাগার) ভেন্টিলেটরের লোহার রডের সঙ্গে লুঙ্গি পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এরআগে বুধবার রাত পৌনে ১০টার দিকে কুয়াকাটা চৌরাস্তা থেকে ১৩ পিস ইয়াবাসহ রায়হানকে আটক করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে ওসি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রায়হান মাদকাসক্ত ছিলেন। এ কারণে তাকে মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে নিরাপদ হেফাজতে রাখা হয়েছিল। তার বাবা নেই। ছেলের মাদক মামলা নিষ্পত্তির জন্য মা সব জমি বিক্রি করে হাইকোর্ট থেকে জামিন করিয়ে আনেন। এরমধ্যে বুধবার রাতে আবারও ইয়াবাসহ ধরা পড়েন রায়হার। ধারণা করা হচ্ছে বিষণ্ণতা থেকে এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।
রায়হানের নামে নলছিটি দু’টি, বাকেরগঞ্জ থানায় একটি ও মহিপুর থানায় একটি মাদক মামলা রয়েছে। ময়না-তদন্তের জন্য পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ময়না-তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয় হবে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৬ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৯
জিপি