ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ঈদের আগে-পরে ৭দিন বন্ধ থাকবে পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৪ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৯
ঈদের আগে-পরে ৭দিন বন্ধ থাকবে পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল

ঢাকা: আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগে ও পরে মোট সাতদিন পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। 

তিনি বলেছেন, ঈদের আগে তিনদিন, ঈদের দিন এবং ঈদের পরের তিনদিন পণ্যবাহী ট্রাক, লরি ও কাভার্ড ভ্যান চলাচল বন্ধ থাকবে।  

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা জানান।

এর আগে প্রতিমন্ত্রীর কার্যালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাস নৌ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।  

আরও পড়ুন>> ঢাকার অভ্যন্তরীণ নদী-খালগুলো দূষণমুক্ত করতে আগ্রহী ভারত

খালিদ মাহমুদ বলেন, আসন্ন ঈদের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে আমরা ৩০ এপ্রিল একটি সভা করেছি। সভায় জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, বিআরটিএ, বিআইডব্লিউউটিএসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাসহ নৌপরিবহন শ্রমিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় একটি সমন্বয় কমিটি করে দেয়া হয়েছে। আমরা যে সিন্ধান্ত নিয়েছি তা কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে সে বিষয়ে কমিটি সারাক্ষণ মিনিটরিং করবে।  

‘ইতোপূর্বে আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছি। যাতে ঈদের সময় যাত্রীদের বাড়তি চাপ সামলাতে লঞ্চঘাটগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। পাশাপাশি ঈদের অগে ও পরে মোট ৭ দিন মালবাহী গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকে। ’

তিনি বলেন, লঞ্চমালিকেরা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন ঈদের সময় তারা অতিরিক্ত যাত্রী বহন করবেন না। এ বিষয়ে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। আমরা একটি আনন্দপূর্ণ ঈদ উদযাপন করতে চাই।

দখল হওয়া নদী উদ্ধারের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেসব নদী দখলমুক্ত করা হয়েছে সেসব স্থান পুণরায় দখল করলে তারা ভুল করবে। কারণ আমাদের অভিযান চলমান রেখেছি, যা সারা বছর চলবে। তবে এখন রমজান উপলক্ষে বন্ধ আছে। ঈদ শেষ হলে আবার শুরু হবে।  

‘এছাড়া ঢাকার আশেপাশের নৌরুটগুলো উদ্ধার ও চলাচলের উপযোগী করতে একটি মাস্টার প্ল্যান নেয়া হয়েছে। প্ল্যানটি দুইবছর, তিনবছর ও পাঁচবছর মেয়াদী হবে। ’ 

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, নৌখাতের সক্ষমতা দিন দিন বাড়ছে। আমরা পানগাঁও বন্দর, পায়রা বন্ধর, মোংলা বন্দর করেছি। বন্দরগুলোতে কন্টেইনার জট কমেছে। নদীগুলো ড্রেজিং হচ্ছে। ফলে নদীগুলোর ধারণ ক্ষমতা বেড়েছে।  

‘বর্তমানে ২০০ টির বেশি ড্রেজার মেশিন কাজ করছে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে। এছাড়া আমরা নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ নির্মাণ করতে চাই। পাশাপাশি রিজিওনাল কানেক্টিভিটিকে আরো গতিশীল করতে কাজ করে যাচ্ছি,’ যোগ করেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৬ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৯
জিসিজি/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।