ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

চার কোটি মানুষকে করের আওতায় আনবো: অর্থমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৫৭ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৯
চার কোটি মানুষকে করের আওতায় আনবো: অর্থমন্ত্রী অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ফাইল ফটো

ঢাকা: কাউকে কষ্ট দিয়ে নয়। উইন উইন অবস্থানে থেকে পর্যায়ক্রমে চার কোটি মানুষকে করের আওতায় নিয়ে আসা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বুধবার (১৫ মে) শেরে বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নরদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
 
মন্ত্রী বলেন, করের আওতা বাড়াতে প্রতিটি উপজেলায় রাজস্ব কার্যালয় চালু করা হবে।

আগামী ০১ জুলাই থেকে ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন হবে। কোনো জায়গায় ভ্যাট বাড়ানো হবে না। বরং অনেক স্থানেই ভ্যাট কমে আসবে। ভ্যাট আইন বাস্তবায়নে সহযোগিতা প্রয়োজন।
 
অর্থমন্ত্রী বলেন, কর নেটের আওতা বাড়ানো হবে। করের আওতা বাড়াতে গিয়ে আমরা আউসোর্সিং করবো। পাশাপাশি প্রতি উপজেলায় কর অফিস চালু করা হবে। যেখানে গ্রোথ সেন্টার বেশি হবে সেখানে একাধিক কর কার্যালয় স্থাপন করা হবে। কর প্রদানে মানুষকে যেন কোনো ধরনের হয়রানি বা কষ্ট করতে না হয় সে ব্যবস্থা চালু করা হবে। যোগ্যদের করের আওতায় আনতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। তবে সামনের দিনে ব্যাংক সুদের হার যৌক্তিক করা হবে।
 
ভ্যাট আইনের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ভ্যাট আইন সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তনযোগ্য। আইন বাস্তবায়নের পরও যদি কোথাও কোনো সীমাবদ্ধতা দেখা দেয় তাহলে তা পরিবর্তন করা হবে। ভ্যাট আইন বাস্তবায়নে স্বচ্ছতার সঙ্গে ঝামেলাহীনভাবে বাস্তবায়ন করা হবে। ভ্যাট আইন আমরা ০১ জুলাই থেকে বাস্তবায়ন করবো। কোনো পণ্যে ভ্যাট বাড়বে না বরং কমবে। তবে আমরা ভ্যাটের আওতা বাড়াবো। আমরা সব কিছুই সুন্দরমতো করবো।
 
সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, ট্যাক্স জিডিপির অনুপাত সারাবিশ্বে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে বাংলাদেশ। আমরা এটি বাড়ানোর বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছি। করহার না বাড়িয়ে করের আওতা বাড়াতে হবে। এছাড়া ব্যাংক আমনতের ওপর আবগারি শুল্কহার বাড়ানো যৌক্তিক হয়নি। এছাড়া ভেঞ্চার ক্যাপিটালকে আরো বেশি গতিশীল করতে হবে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প সম্প্রসারণে আরো উদ্যোগের প্রয়োজন। স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে বরাদ্দ বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে। পিছিয়ে পড়া মানুষের কাছে সরকারের সেবা পৌঁছাতে হলে এসব খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই।
 
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, অর্থ বিভাগের সচিব আব্দুর রউফ, বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাপরিচালক ও পর্ষদের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ০০৫০ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৯
এমআইএস/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।