ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বাথরুমে ফেলে গেলেন এক মা, দত্তক নিতে চান শত মা!

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২৭ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৯
বাথরুমে ফেলে গেলেন এক মা, দত্তক নিতে চান শত মা! উদ্ধার হওয়া নবজাতক ও ওসি জানে আলম মুন্সি

ঢাকা: রাজধানীর শেরে-বাংলা নগর এলাকায় শিশু হাসপাতালের বাথরুম থেকে উদ্ধার হওয়া সেই নবজাতক এখন অনেকটাই সুস্থ। বাংলানিউজসহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ওই নবজাতক উদ্ধার সংক্রান্ত খবর প্রকাশ হওয়ার পর থেকে শত-শত মা ফোন দিচ্ছে শিশুটিকে দত্তক নেওয়ার জন্য।

বুধবার (১৫ মে) বিকেলে এ বিষয়ে কথা হয় শেরে-বাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানে আলম মুন্সির সঙ্গে।

তিনি জানালেন, শিশু হাসপাতালের 'সি' ব্লকের নিচতলার বাথরুম থেকে জীবিত উদ্ধার হওয়া ওই মেয়ে নবজাতককে দত্তক নিতে দেশের অধিকাংশ জেলা থেকে শত-শত মহিলা ফোন দিয়েছে।

অনেকে আকুতি-মিনতি করেছে। অনেকে ফোনে কেঁদে বলেছে, আমার সন্তান নেই ওই সন্তানটিকে আমাকে দেন। আমি তাকে আগলে রাখবো জীবন দিয়ে। যেভাবে হোক আমাকে দেন।

ওসি আরও বলেন, গতকাল (মঙ্গলবার) শিশুটি উদ্ধার হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন গণমাধ্যমসহ ফেসবুকে বিষয়টি জানাজানি হয়। আমার মোবাইল ফোনে এখনো শত শত ফোন আসছে। তাদের সঙ্গে কয়েক মিনিট করে কথা বলতে হচ্ছে। সবারই  করুণভাবে-বিনয়ভাবে দাবি জানাচ্ছে শিশুটিকে দত্তক নেওয়ার জন্য। শিশুটিকে কোলে নেওয়ার পরে মিটমিট করে আমার দিকে তাকিয়ে ছিল। এক পর্যায়ে সে হাত নাড়ালো, তখন আমার আশেপাশে অনেকেই আনন্দে বলছিল,'স্যার আপনাকে শিশুটি সেলুট দিয়েছে'।

এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান,যারা শিশুটিকে নেওয়ার জন্য আগ্রহ দেখাচ্ছেন তাদের জানানো হয়েছে, নবজাতককে আদালতের মাধ্যমে নিতে হবে।

শিশু হাসপাতালে পাবলিক রিলেশন অফিসার আব্দুল হামিদ বাংলানিউজকে জানান, শিশুটি হাসপাতালে ৩১০ কেবিনে ভর্তি রয়েছে। সে ভালো রয়েছে, তার আইসিইউ ও সিসিইউ কিছুই লাগেনি। মেডিসিন ইউনিট ৪ এর তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন।

এদিকে ইউরোপে অবস্থানরত ইমরান নামে এক ব্যবসায়ী শিশুটিকে দত্তক নেওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলেও জানান আব্দুল হামিদ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৯
এজেডএস/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।