ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

‘ভূমি অধিগ্রহণে ৭ ধারার পর আর কোনো অভিযোগ নয়’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩৫ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৯
‘ভূমি অধিগ্রহণে ৭ ধারার পর আর কোনো অভিযোগ নয়’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: জনভোগান্তি কমানোর লক্ষ্যে ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে ৭ ধারার নোটিশ জারির পর আর কোনো অভিযোগ গ্রহণযোগ্য হবে না বলে জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। এ বিষয়ে শিগগরিই পরিপত্র জারি করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
 

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বুধবার (১৫ মে) ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের উদ্যোগে ‘ভূমি জরিপ কার্যক্রমের চ্যালেঞ্জসমূহ ও উত্তরণে করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভূমিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
 
তিনি বলেন, ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় ৭ ধারা নোটিশ জারির পর প্রায়ই দেখা যায় মানুষকে হয়রানির উদ্দেশ্যে মাঠ পর্যায়ে কোনো কোনো অসাধু চক্র যোগসাজশ করে আরেকজনকে দিয়ে টাইটেল মামলা করায়।

৩ এবং ৪ ধারার নোটিশ জারি করার পরই কেবল শেষবারের মতো ৭ ধারার নোটিশ জারি করা হয়। সুতরাং জনভোগান্তি কমানোর লক্ষ্যে, ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে ৭ ধারার নোটিশ জারির পর আর কোনো অভিযোগ গ্রহণযোগ্য হবে না- এ মর্মে আমরা শিগগিরই পরিপত্র জারি করতে যাচ্ছি।
 
ভূমি ব্যবস্থাপনায় মাঠ পর্যায়ে জনভোগান্তি দূর করতে সবাইকে দ্রুত শোধরানোর পরামর্শ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, কিছুদিনের মধ্যেই অনিয়মের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 
ভূমি মন্ত্রণালয়ের কর্মচারীদের ধর্মীয় অনুশাসনের কথা স্মরণ করে দিয়ে তিনি বলেন, আমাদের কাজ আমাদের ঈমানি দায়িত্ব। দেশের মানুষ যেন ভালোভাবে সেবা পেতে পারে এভাবে আমাদের কাজ করে যেতে হবে।
 
ভূমিমন্ত্রী বলেন, আমাদের মাইন্ডসেট চেঞ্জ করতে হবে। গতানুগতিক চিন্তা করলে কোনো লাভ হবে না। গুণগত পরিবর্তন আনতে পারলে এবং সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট করতে পারলে কাজ অনেক সহজ হবে। ভূমি মন্ত্রণালয়ে কর্মরতদের আমার সঙ্গে ‘সেম পেজে’ (দুর্নীতিমুক্ত ভূমি ব্যবস্থাপনা গড়তে সহমত) থাকতে হবে। যারা এতে ‘কমফোর্ট ফিল’ করবেন না তাদের ঠিক করে ফেলা উচিৎ তারা কী করবেন। যারা অন্যায় করবেন তারা কেউই রেহাই পাবেন না।
 
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ভূমি সচিব মো. মাক্ছুদুর রহমান পাটওয়ারী। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মুনশী শাহাবুদ্দীন আহমেদ এবং ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান আবদুল হান্নান।
 
কর্মশালায় নির্ধারিত আলোচক ছিলেন ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক মাহফুজুর রহমান, সাবেক পরিচালক ফায়েকুজ্জামান চৌধুরী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক নূরুল ইসলাম নাজেম।
 
উচ্চশিক্ষায় ভূমি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক বিশেষায়িত কোর্স চালু করা এবং সিভিল সার্ভিসে ‘ল্যান্ড ক্যাডার’ প্রতিষ্ঠা করার উপর গুরুত্বারোপ করে অধ্যাপক নূরুল ইসলাম বলেন, ‘বিসিএস (ল্যান্ড ক্যাডার)’ করা হলে ভূমি সেক্টরে কর্মরত কর্মকর্তাদের মাঝে দায়িত্বশীলতা আরও বৃদ্ধি পাবে।
 
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) আলীম আখতার খান।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩২ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৯
এমআইএইচ/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।