বুধবার (১৫ মে) দুপুরে খুলনা নদী বন্দর কর্তৃপক্ষ ঘাটের পূর্বের ইজারা বাতিল করে ঘাট পরিচালনায় নতুন ইজারাদার নিয়োগ করলে উত্তেজনা দেখা দেয়।
এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, পূর্বের ইজারাদার এসএম মনিরুজ্জামান ঘাটের ইজারা নিয়ে প্রায় ৯ বছর ধরে ঘাটটি নিজ দখলে রাখেন। আদালতে মামলা করে তিনি ঘাটের নতুন ইজারা বন্ধ করে রাখেন।
শ্রমিকরা জানান, ঘাটটি প্রতিবছর ৩৫ থেকে ৪০ লাখ টাকায় ইজারা দেয়া হলেও সেখানে বছরে ২ থেকে ৩ কোটি টাকা আয় হয়। এ কারণে ঘাটটি কাঁচা টাকার উৎস হিসেবে স্থানীয়দের কাছে পরিচিত।
খুলনার নদী বন্দর ও পরিবহন বিভাগের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ঘাটটি নতুন করে ইজারা দেয়ার জন্য দরপত্র আহবান করা হয়। এতে একমাত্র প্রতিষ্ঠান এলআর এন্টারপ্রাইজ গতকাল দরপত্র জমা দেয়। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৫০ লাখ টাকা ইজারায় একমাসের জন্য প্রতিষ্ঠানটিকে ইজারা দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে তা’বৃদ্ধি করা হবে।
তিনি বলেন, সানি এন্টারপ্রাইজ নামে অপর একটি প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট সময়ের পরে দরপত্র জমা দিতে আসে। ওই দরপত্র জমা না নেওয়ায় তারা কিছুটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। এতে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। ঘাট এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বাংলাদেশসময়: ১৮০৯ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০১৯
এমআরএম/এমজেএফ