জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৩ মে খুলনা-মোংলা মহাসড়কের ফকিরহাট উপজেলার নওয়াপাড়া (শ্যামবাগাত) এলাকায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রটি উদ্বোধন করেন। এরপর থেকে অনিয়মিতভাবে কিছুদিন চালু থাকলেও, পরবর্তীতে স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যায় কেন্দ্রটি।
সড়ক বিভাগ সূত্র জানায়, কেন্দ্রটি তৈরির পরে লোকবল নিয়োগ না হওয়া এবং দুর্বল মেশিনের কারণে বন্ধ রয়েছে এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র। তবে কবে থেকে কেন্দ্রটি বন্ধ রয়েছে সে বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো তথ্য নেই কর্তৃপক্ষের কাছে।
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর মোংলায় সড়ক পথে যাওয়া ও বের হওয়ার একমাত্র পথ এটি। এখান থেকেই সড়ক পথের সব পণ্য প্রবেশ ও বের হয়। গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কের এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র বন্ধ থাকায় চালক ও পরিবহন মালিকেরা মাত্রাতিরিক্ত পণ্য বহন করে প্রতিনিয়ত ক্ষতি করে চলেছে সড়কের।
পথচারী আব্দুল আউয়াল মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, এক্সেল লোড না থাকার কারণে ট্রাকসহ অন্যান্য পরিবহন অনেক বেশি মাল বহন করে রাস্তার ক্ষতি করছে। পাশাপাশি তাদের দ্রুতগতির কারণে দুর্ঘটনাও ঘটছে।
এ বিষয়ে বাগেরহাট সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আনিসুজ্জামান মাসুদ বাংলানিউজকে বলেন, নির্মাণের সময় থেকেই এক্সেল লোড কেন্দ্রটি অস্থায়ীভাবে নির্মাণ করা হয়। এখনকার মেশিন দুর্বল হওয়ায় দু-একটি গাড়ির ওজন মাপের পরই সেটি বন্ধ হয়ে যেত। এছাড়া কেন্দ্রটি নির্মাণের পর থেকে এখানে কোনোদিন আনসার ও স্টাফ নিয়োগ হয়নি। তাই কিছুদিন পর কেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে যায়। এখন মেশিনটি নষ্ট রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সারাদেশে মহাসড়কে নতুন এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র নির্মাণের প্রক্রিয়া চলছে। তার অংশ হিসেবে খুলনা-মোংলা মহাসড়কের বেলাই ব্রিজের সামনে উন্নত মেশিন দিয়ে স্থায়ী এক্সেল লোড নির্মাণ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১১ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৯
এনটি