বুধবার (১৫ মে) সকাল ৬টার দিকে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ তাদের আটক করে। নিহত জামাল বাহাদুরপুর ইউনিয়নের ধান্য খোলা গ্রামের হবিবর রহমানের ছেলে।
নিহতের বাবা হবিবর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ১৫ বছর আগে জামালের সঙ্গে একই গ্রামের প্রতিবেশী রেজাউল ইসলামে মেয়ে আয়েশার বিয়ে হয়। সংসারে স্বচ্ছলতা আনতে তার ছেলে বিদেশ যান। বিদেশে থাকাকালীন টাকা-পয়সা সব শ্বশুর বাড়িতে পাঠাতো জামাল। এরইমধ্যে জামাল তিন বার দেশেও এসেছেন।
‘প্রবাসে থাকার কারণে স্ত্রী আয়েশা এলাকার বিভিন্ন ছেলের সঙ্গে প্রেম করতো। প্রায়ই কারও না কারও সঙ্গে মোটরসাইকেলে বাড়ি থেকে বের হয়ে দুই-তিন দিন পর বাড়ি ফিরতো সে। স্ত্রীর পরকীয়ার কারণে তাদের স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিলো না। ’
তিনি বলেন, মঙ্গলবার (১৪ মে) বিদেশ থেকে বাড়ি ফিরে জিনিসপত্র নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে উঠে জামাল। রাত ১টার দিকে হঠাৎ তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন চিৎকার করে বলতে থাকে ‘রোহিঙ্গারা জামালকে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে গেছে’। এসময় ওই বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় ঘরের সিঁড়িতে রক্তাক্ত অবস্থায় জামালের মরদেহ পড়ে রয়েছে।
নিহতের বাবা অভিযোগ করে বলেন, এরআগেও যখন তার ছেলে বিদেশ থেকে বাড়ি এসেছিল তখন তাকে বিদ্যুতের তার জড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করেছিলো তারা। বুধবার রাতে তার স্ত্রী, শ্বশুর ও শাশুড়ি মিলে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে নাটক সাজানো চেষ্টা চালায়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে তাদের আটক নিয়ে যায়।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত ) আলমগীর হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, স্ত্রীর পরকীয়ার কারণে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। হত্যাকারী সন্দেহে স্ত্রী, শ্বশুর ও শাশুড়িকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
এ ঘটনায় আর কেউ জড়িত আছে কি না তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়না-তদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৪ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৯
জিপি