বুধবার (১৫ মে) সকালে নিজ বাড়ির বসতঘর থেকে গলায় ওড়না পেঁচানো হালিমা আর বাড়ির পাশে একটি ডোবা থেকে শিশু আব্দুল্লাহর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে তাদের মৃত্যুর কারণ জানাতে পারেনি পুলিশ।
নিহত হালিমা বাঁশিলা গ্রামের মাহমুদুল হাসান মুন্নার স্ত্রী ও হরিদাখলসী গ্রামের উমর আলীর মেয়ে। শিশু আব্দুল্লাহ প্রতিবন্ধী বলে জানা যান। নিহতের স্বামী ঢাকায় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন।
নিহতের শ্বশুর আমজাদ আলী প্রামাণিক বাংলানিউজকে বলেন, মঙ্গলবার (১৪ মে) রাতের খাওয়া শেষে সবাই ঘুমিয়ে পড়েন। রাত সোয়া ৩টার দিকে সেহেরি খাওয়ার জন্য ঘুম থেকে উঠে দেখেন তাদের ঘরের দরজার বাহির থেকে শিকল দিয়ে আটকানো। একপর্যায়ে দরজা খুলে বাহিরে এসে দেখেন ছেলের বউ হালিমার ঘরের দরজা খোলা। পরে ভেতর ঢুকে দেখেন হালিমার গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। কিন্তু ঘরে শিশু আব্দুল্লাহ নেই। অনেক খোঁজাখুঁজির পর ভোর ৫টার দিকে বাড়ির পাশে একটি ডোবায় শিশুটির মরদেহ দেখতে পান।
তিনি বলেন, ঘরের মেঝেতে কাপড়চোপড় ও আসবাবপত্র ছড়ানো ছিটানো ছিলো। বাড়ির টয়লেটের সঙ্গে একটি মই লাগানো ও রান্না ঘরের পেছনের দরজা খোলা ছিল। ধারণা করা হচ্ছে কেউ বাহির থেকে এসে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ঘটনার পর তার ছেলের বউয়ের কানের স্বর্ণের দুল, হাতের বালা ও মোবাইল ফোন পাওয়া যাচ্ছে না বলেও জানান তিনি।
নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে তাদের শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। মরদেহ দু’টি উদ্ধার করে ময়না-তদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এটি হত্যা না আত্মহত্যা ময়না-তদন্তের প্রতিবেদন হাতে এলে বিস্তারিত বলা যাবে। তবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের দেবর ও তার স্ত্রীকে থানায় আনা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
এদিকে এ ঘটনার খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আকরামুল ইসলাম, নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাকিব আল রাব্বি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবুল হাসনাত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০৮ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৯/আপগেট সময় ১৫৩০ ঘণ্টা
জিপি