নিখোঁজ জুয়েল ওই উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের ছাতারখাই গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে।
জুয়েলের বাবা জামাল উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, গত ৯ মে (বৃহস্পতিবার) নৌকায় করে জুয়েলসহ অনেকে লিবিয়া থেকে ইতালির উদ্দেশ্যে রওয়ান দেয়।
তিনি আরও বলেন, ইতালি যাওয়ার উদ্দেশ্যে ২০১৮ সালের ৫ মার্চ সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার ফেনগ্রাম এলাকার বদরুল ইসলাম ও বড়লেখা উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের বোয়ালি এলাকার আনফর আলি আনইর ছেলে নাসির উদ্দিন নামে দুই দালালের মাধ্যমে ৮ লাখ টাকার বিনিময়ে লিবিয়া পাড়ি দেন জুয়েল। কিন্তু স্বপ্নের দেশ ইতালি যাওয়া হয়নি তার। লিবিয়ায় কেটে যায় প্রায় দেড় বছর।
‘সেখানে দীর্ঘদিন থাকার পর এক বন্ধুর মাধ্যমে পরিচয় হয় ইতালি বসবাসরত বিশ্বনাথ উপজেলার বৈরাগী বাজার এলাকার রফিক আহমদের ছেলে দালাল পারভেজ আহমদের। আড়াই লাখ টাকার বিনিময়ে জুয়েলকে ইতালি নেওয়ার আশ্বাস দেন পারভেজ। চুক্তি অনুযায়ী জুয়েলের বাবা জামাল উদ্দিন গত বছরের ডিসেম্বর মাসে বিশ্বনাথ উপজেলার দালাল পারভেজের বাবা রফিক উদ্দিনের কাছে নগদ আড়াই লাখ টাকা তুলে দেন। ’
জুয়েলের বাবা বলেন, গত ৯ মে নৌকায় করে জুয়েলসহ অনেকে ইতালির উদ্দেশ্যে রওয়ান দেয়। তিউনিসিয়ার উপকূলে ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবির পর থেকে জুয়েলের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে জানতে মঙ্গলবার (১৪ মে) বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের ইতালি প্রবাসী পারভেজের বাবা রফিক উদ্দিনের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এদিকে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সূত্রে জানা যায়, নৌকাডুবিতে নিহতদের মধ্যে ২৭ জন বাংলাদেশি রয়েছে। এর মধ্যে ১৯ জনই সিলেটের। তাদের সবার নাম-পরিচয় মিলেছে। আর উদ্ধার হওয়া বাকি ১৬ জনের মধ্যে ১৪ জন বাংলাদেশি। উদ্ধার হওয়া অভিবাসীরা জানান, সাগরের ঠাণ্ডা পানিতে প্রায় আট ঘণ্টা ভেসে ছিলেন তারা।
তবে ওই দু'টি তালিকায় বড়লেখার জুয়েলের নাম পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪২ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০১৯
জিপি