সজনে গাছের পাতাতে একটি পরিপূর্ণ কমলার ৬ গুণ বেশি ভিটামিন ‘সি’ এবং দুধের গুণ বেশি ভিটামিন ‘এ’ রয়েছে। বাংলাদেশে বর্তমানে ডায়াবেটিস, বাতের ব্যথা, উচ্চ রক্তচাপ একটি বড় সমস্যা।
দেশে সজনে গাছের প্রাচুর্য থাকলেও আমরা এর উপকারিতা ঠিকভাবে গ্রহণ করতে পারছি না। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে কাজ শুরু করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মনজুর হোসেন। দীর্ঘদিন গবেষণার পর তিনি সজনে গাছের পাতা প্রক্রিয়া করে এক ধরনের গুঁড়া তৈরিতে সক্ষম হন।
তার উদ্ভাবিত এ পাউডারটি পরীক্ষা-নিরীক্ষায় দেখা গেছে, প্রতিদিন ৩-৫ গ্রাম বা এক চা চামচ পরিমাণ গুঁড়া পানির এক গ্লাস পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেলেই পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ‘এ’ ও ‘সি’সহ বিভিন্ন পুষ্টিগুণ পাবে মানবশরীর।
অধ্যাপক মনজুর হোসেন সজনে গাছ নিয়ে গবেষণা করছেন জানতে পারেন জাপানি গবেষক কিনজি টিসুজি তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাদের যৌথ উদ্যোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বদ্ধভূমি সংলগ্ন এলাকায় ১ হেক্টর জমিতে ৫ হাজার সজনে গাছের চারা এবং গাছটির দেড় হাজার ডাল রোপণ করেন। তাই প্রতিবছরই আগের বছরের তুলনায় দ্বিগুণ পরিমাণ চারা ও গাছের ডাল বিভিন্ন জমিতে রোপণের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। রোপিত এ চারাগুলো থেকে যে পরিমাণ পাউডার উৎপন্ন হবে তার পুরোটাই জাপানের জন্য কিনে নিয়ে যাবেন কিনজি টিসুজি।
অধ্যাপক মনজুর হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, সজনে গাছকে এর পুষ্টিগুণের জন্য বিশ্বব্যাপী মিরাকল ট্রি হিসেবেই ডাকা হয়। বাংলাদেশে পুষ্টিহীনতা, বাতরোগ, উচ্চরক্ত চাপ বড় সমস্যা। এসব রোগ প্রতিরোধের পাশাপাশি শিশুদের মেধা বিকাশে, ক্ষয়জনিত রোগ প্রতিরোধে গাছটির পাতা খুব উপকারী।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু সজনে পাতায় অনেক পুষ্টি ও নানা রোগের উপকারিতা রয়েছে সেটিকে মানুষের কাছে সহজলভ্য করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। বিশ্বব্যাপী এ পাউডারের ব্যবহার সমাদৃত করাই আমাদের উদ্দেশ্য।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০১৯
এসএইচ