ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

অবশেষে পবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ১৮ জুন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৫২ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৯
অবশেষে পবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ১৮ জুন

রাজশাহী: অবশেষে রাজশাহীর পবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। রোববার (১২) ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী পঞ্চম ধাপে ১৬টি উপজেলার সঙ্গে পবা উপজেলা পরিষদের ভোটগ্রহণ করা হবে ১৮ জুন।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারীদের জন্য সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২১ মে। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ২৩ মে এবং প্রত্যাহারের শেষ দিন ৩০ মে।

 

ভোটগ্রহণ করা হবে ১৮ জুন। পবা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মিরদাহ মোসাম্মদ শাহনাজ বেগম তফসিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

সম্প্রতি সীমানা জটিলতার অভিযোগ এনে রিট করে রাজশাহীর পবা উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে বিলম্ব করায় রিটকারীকে এক লাখ টাকা জরিমানা করে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এ রিটের ওপর জারি করা রুল খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।  

এছাড়া ওই নির্বাচনের ওপর দেওয়া স্থগিতাদেশও তুলে নেন উচ্চ আদালত। বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। আদালতে রিটকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জাফর সাদিক। অন্যপক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মাহবুবে আলম। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মাসুদ হাসান চৌধুরী পরাগ।

মাসুদ হাসান চৌধুরী পরাগ সাংবাদিকদের বলেন, ২০১৪ সালের চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরের বছর উপজেলা চেয়ারম্যানের মৃত্যু হলে উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়।  

কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দা ফজলুল বারীসহ নয়জন উপজেলার পারিলা ইউনিয়নের মুরশইল ও কেচুয়াতৈল গ্রামের সীমানা নিয়ে জটিলতা নিয়ে হাইকোর্টে রিট করলে নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়।

তিনি বলেন, এর মধ্যে একই সীমানা নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন, জাতীয় নির্বাচন হয়েছিল। কিন্তু তারা কোনো প্রকার আইনের আশ্রয় নেয়নি। কেবল তারা উপজেলা নির্বাচনে রিট করে স্থগিতাদেশ নিয়ে নির্বাচন আটকে রেখেছেন। চলতি বছরের শুরুতে ওই উপজেলার নির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষণা করলে হাইকোর্টের এক আদেশে নির্বাচন কমিশন তা স্থগিত করেন। পরে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মনসুর রহমান রিটে পক্ষভুক্ত হয়ে নির্বাচনের ওপর দেওয়া স্থগিতাদেশ তুলে নিতে আবেদন করেন।  

শুনানি শেষে আদালত স্থগিতাদেশ তুলে রুল খারিজ করে দেন। একইসঙ্গে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে রিট করে নির্বাচনে বিলম্ব করায় আবেদনকারীকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। আরও বলা হয়, ওই উপজেলার নির্বাচন হতে কোনো বাধা নেই। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ওই উপজেলার তফসিল ঘোষণা করা হয়।

২০১৪ সালের চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পবায় দ্বিতীয়বারের মতো উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন জামায়াতের নেতা মোকবুল হোসাইন। ওই নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান হন ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা আশরাফুল হক তোতা এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হন জামায়াতের খায়রুন নেছা।

২০১৫ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচিত চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা অধ্যাপক মোকবুল হোসাইন মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর কয়েকমাস পরে নির্বাচন কমিশন উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। সীমানা জটিলতার ভুয়া তথ্য দিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে হাইকোর্টে রিট করেন ফজলুল বারী। হাইকোর্টে রিট করায় ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার দু'দিন আগে উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচন স্থগিত হয়।  

২০১৯ সালে পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে গত ১০ মার্চ এখানে ভোটগ্রহণের কথা ছিল। কিন্তু আবারও পবার পারিলা ইউনিয়নের ডাংগীরপাড়া গ্রামের মৃত ইব্রাহীম হোসেনের ছেলে ফজলুল বারী একটি রিট আবেদন করেন উচ্চ আদালতে। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এক বছরের জন্য পবা উপজেলা পরিষদের নির্বাচন স্থগিতাদেশ দেন।  

চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি শুনানি হলে নির্বাচন এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়। আবারো আটকে যায় পবা উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। পবায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খায়রুন নেসা।

বাংলাদেশ সময়: ০৩৫০ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৯
এসএস/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।