ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

চাটমোহরে গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫৫ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৯
চাটমোহরে গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ

পাবনা: পাবনার চাটমোহর উপজেলার ছাইকোলা ইউনিয়নের কাটেঙ্গা গ্রামের নীলা আক্তার নীপা নামে (২০) এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার স্বজনেরা।

স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা মরদেহ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে গেছে। পুলিশ হাসপাতাল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

নিহত নীলা আক্তার একই গ্রামের মো. নূরুজ্জামানের মেয়ে।

নিহত নীলার বাবা নুর জামাল জানান, দেড় বছর আগে নীলার সঙ্গে রিপনের বিয়ে হয়। সেসময় যৌতুক হিসেবে তিনি ৭ লাখ টাকা দিয়ে জামাই রিপনকে চাকরির ব্যবস্থা করে দেন। নুর জামাল বলেন, মেয়ের গায়ের রং শ্যামলা হওয়ায় বিয়ের পর থেকেই জামাই মেয়ের ওপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিল।  

তিনি আরো জানান, শনিবার দুপুরে নীলাকে রিপন ও তার শ্বশুর শাহ আলম এবং শাশুড়ি আঞ্জুয়ারা পরিকল্পিতভাবে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। হত্যার পরে আত্মহত্যা করেছে এমন গুজব ছড়িয়ে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেছে। হাসপাতালে নেয়ার পরে দায়িত্বরত চিকিৎসক দেখে আগেই মারা গেছে এমন কথা জানালে হাসপাতাল থেকে রিপন তার বাবা ও মাকে নিয়ে পালিয়ে যায়।  

প্রতিবেশীদের বরাত দিয়ে নীলার বাবা নুর জামাল বলেন, মেয়ে বিয়ে দেয়ার পর থেকেই শুনেছি ছেলের বউ পছন্দ হয়নি। তার সঙ্গে অন্য কোন মেয়ের সম্পর্ক রয়েছে। ছুটিতে এলেও অধিকাংশ সময়ে সে বাড়ির বাইরেই অবস্থান করতো।  

নুর জামাল বলেন, আমি আমার মেয়ে হত্যার সুষ্ঠু বিচার চাই।  
 
চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহম্মদ নাসির উদ্দিন বলেন, মেয়ের পরিবার এবং হাসপাতাল থেকে খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়। মেয়ের পরিবার আমাদের কাছে মৌখিক অভিযোগ করেছে। হাসপাতাল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।  

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৩ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৯
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।